রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের নয় জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আরব হোসেন বাদী হয়ে আরও অজ্ঞাত ৪০ জনের নামে এই মামলার আবেদন করেন।
এতে তার ওপর হামলা, মারধর, হত্যাচেষ্টা, স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই এবং মোবাইল ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ আনেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন।
মামলার আবেদনে আসামী করা হয়েছে রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল হক লিংকন, বর্তমান সহ-সভাপতি শাহীনুল ইসলাম সরকার ডন ও তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয়, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও শামীম হোসেন, শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. তানজিল হোসেন, আরবি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শামিম মাহবুব সজীব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মইনুল ইসলাম তপু। শেষোক্ত তিনজন ছাত্রলীগের কর্মী বলে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদ্য ঘোষিত রাবি ছাত্রলীগের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে গত ২২ অক্টোবর রবিবার কাজী লিংকন, সরকার ডন, দুর্জয়, নিয়াজ মোর্শেদসহ পদবঞ্চিতরা অবস্থান কর্মসূচি করেন। এদিন দুপুর ১২টার দিকে সাবেক সহ-সম্পাদক আরব হোসেন মোটর সাইকেলে করে বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটে আসেন। এসময় তার ওপর চড়াও হয় তারা। একপর্যায়ে তাকে গণমাধ্যমের সামনেই মারধর ও ধাওয়া করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, আরব হোসেনকে এলোপাথারি চড়, কিল ও ঘুষি দিচ্ছেন কাজী লিংকন।
মামলার আবেদনে আরব হোসেন অভিযোগ এনেছেন, সংঘবদ্ধ হয়ে তার ওপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। অভিযুক্তরা জিআই পাইপ ও লোহার রড দিয়ে তাকে মারধর করে। এতে তিনি মাথা ও চোয়ালে গুরুতর আঘাত পান। এসময় অভিযুক্তদের মধ্যে তানজীল হোসেন তার গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। রাজু আহমেদের জিআই পাইপের আঘাতে তার মোবাইল ফোন ভেঙ্গে যায়। এক পর্যায়ে আরব হোসেন তাদের আক্রমণের হাত থেকে পালিয়ে গেলে তাকে ধাওয়া দেয় অভিযুক্তরা। পরে তার মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমীন বলেন, আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আরব হোসেন একটি মামলার আবেদন দিয়ে গেছে। আমরা যাচাই বাছাই করে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।