all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114গেলো কয়েকদিনের টানা বর্ষণের অজুহাতে বাজারে কমেনি কোন শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। পটল, করলা, বেগুনসহ অন্যান্য সবজি ৭০ টাকা কেজির নিচে মিলছেই না। আর আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও সেই দামে ক্রয় করতে পারছে না ক্রেতারা।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছে কিছুদিন আগে টানা বর্ষায় শাক-সবজি পানিতে ডুবে গাছ মারা গেছে। ফলে বাজারে পণ্য সরবরাহ কম তাই সবকিছুর দাম উর্ধ্বগতি রয়েছে।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সবকিছুর পণ্য স্বাভাবিক থাকলেও এককে সময় একটি ইস্যু তৈরী করে বাজারে দাম বাড়তেই থাকে। এর পেছনে সিন্ডিকেটকে দায়ি করছেন ক্রেতারা। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং সঠিক না হওয়া ও উদাসিনতাকে দায়ি করছেন ক্রেতারা।
এখন বাজারে গেলেই দামের উর্ধ্বগতির কারণে হতাশ হচ্ছে মানুষ। আয়ের চেয়ে খরচের মাত্রা দ্বিগুনেরও বেশী হওয়ায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবার খাবারের চাহিদা কমিয়ে দিয়ে কোন রমক দিন চালিয়ে নিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজারে সবজির দাম করেছিলেন আব্দুর রহমান। চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি । তার সাথে কথা হলে জানান, পেনশনের টাকা দিয়ে আর সংসার চলছে না। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম চড়া। শাক সবজির দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। এসব কষ্ট কাউকে বলাও যায় না। নিরবেই দিনানিপাত করতে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়ও লেবু হালি প্রতি ৩০ টাকা। বলতে গেলে ৭০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। ডিম প্রতিহালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।
ক্রেতা ফারহানা বলেন, এখন একটার জায়গায় পরিবারের সবাইকে অর্ধেক করে ডিম খাওয়ানো হচ্ছে সামর্থ্য নেই কিনবো কি করে। এর সাথে ডাল বা কোন রকম সবজি দিয়ে সবাই খেয়ে উঠছে।
ক্রেতা শামিমা বলেন মাছ মাংস খেয়েছি দুই মাস আগে তারপর থেকে কোনরকম সবজি দিয়ে ভাত খেয়ে দিন চলছিলো। এখন সেই সবজিও কেনার সামর্থ্য হচ্ছে না। কোনরকম ডাল ভাত খেয়ে জীবন যাচ্ছে।
বাজার করতে আসা অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী খালিদ হোসেন বলেন, নানান অজুহাতে বাজারে বিভিন্ন পন্যের দাম বাড়তেই থাকে। প্রতিটি বাজারে সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। কিছু পণ্য বাজারে সরবরাহ থাকলেও কম আমদানির অজুহাত দেখায়। আমরা গ্রাম থেকে শহরে লেখাপড়া করতে এসেছি। বাবার আয় তো এক রকমই আছে কিন্তু সবকিছুরই খরচ বেড়ে গেছে অনেক। সবমিলিয়ে বাবা আমাদের খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে সরকার বাজার তাদারকির কথা বললেও কোন কিছু হয় না। আর এসব বলে লাভও হয় না। সরকার সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে কোন কিছু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে এই শিক্ষার্থী এক রকম ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব বলেন।