all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114আমদানির খবরে রাজশাহীতে ডিমের দাম হালিতে দুই থেকে তিন টাকা কমেছিল। কিন্তু আমদানি করা ডিম বাজারে না আসায় দাম আবার বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে ডিমের উৎপাদন কমায় দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার রাজশাহীতে সাদা ডিম খুচরা পর্যায়ে ৪৬ ও লাল ডিম ৪৮ টাকা হালি বিক্রি হয়েছে।
প্রতিদিন ডিমের দাম নির্ধারণ করে রাজশাহী পোলট্রি ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (আরপিডিএ)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আরপিডিএ’ নামে তাদের একটি গ্রুপ আছে। গ্রুপে ফলোয়ারের সংখ্যা আড়াই হাজার। ওই গ্রুপের মাধ্যমে বা মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে সমিতি থেকে প্রতিদিনের ডিমের দাম জানিয়ে দেওয়া হয়।
আরপিডিএ সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সরকারের ডিম আমদানির খবরে দাম কিছুটা কমেছিল। ডিম আমদানি করলে স্থানীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ আশঙ্কায় অনেক খামারি ইতিমধ্যে মুরগি বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে আবার ডিমের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে বাজারে আবার ডিমের দাম বেড়ে গেছে।
নগরের মোসলেমের মোড় এলাকার ডিমের বড় আড়তদার হাফিজুর রহমান। তিনি বিভিন্ন কোম্পানির পরিবেশকও। তিনি প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ ডিম কেনাবেচা করেন। তিনি বলেন, ৩ দিন আগে তাঁরা সাদা ডিম পাইকারিতে ৯ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি করেছেন, লাল ডিম সাড়ে ১০ টাকায়। তিনি দাবি করেন, যেসব কোম্পানি ডিমের কারবার করছে, তারা পরিবেশক বাদ দিয়ে সরাসরি বাজারে বেশি দামে ডিম বিক্রি করছে। এ জন্য একেক জায়গায় একেক রকম দাম।
মোসলেমের মোড় এলাকার আড়তদার ও খামারি কামাল হোসেন বলেন, ডিমের দাম কমে যাওয়ায় অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দাম বাড়ায় তাঁরা আবার নতুন করে ঘর ঠিক করা শুরু করেছিলেন। এরই মধ্যে ভারত থেকে ডিম আমদানির কথা শুনে তাঁরা আর বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন না। তাঁর অধীনে যেসব খামারি আছেন, তাঁরা সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার মুরগি বিক্রি করে দিয়েছেন। এসব কারণে বাজারে ডিমের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম আবার বেড়েছে।
কামাল হোসেনের দাবি, বাইরে থেকে ডিম আমদানি করলে আগামী বছর এ সময়ে খামারিই থাকবেন না।
নগরের সাহেব বাজারে খুচরা ও পাইকারি ডিমের দোকান সৈকত ডিম আড়তের স্বত্বাধিকারী জাহিদ আলী বলেন, সপ্তাহখানেক আগে তাঁরা সাদা ডিম খুচরা ৪২ টাকা ও লাল ডিম ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা হালি বিক্রি করেছেন। সেই ডিমের দাম বেড়ে আবার আগের জায়গায় চলে এসেছে। এখন সাদা ডিম ৪৬ আর লাল ডিম ৪৮ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ডিমের সরবরাহ কমেছে। বাড়তি গরম আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে ডিমের উৎপাদন কমেছে। তিনি বলেন, আমদানির ডিম এখনো তাঁরা পাননি।
রাজশাহী নগরের সাগরপাড়া এলাকার গৃহিণী বিভা সাহা বলেন, গত শনিবার তিনি ৪৪ টাকা হালি হিসেবে সাদা ডিম কিনেছেন। আজ সেই ডিম ৪৬ টাকা হালি কিনতে হয়েছে তাঁর।