ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি) খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম এর সরকারি চাকরি থেকে স্বাভাবিক অবসরে যাচ্ছেন। এ উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে এক বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম এর বর্ণিল কর্মময় ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোঃ কামরুল আহসান বিপিএম (বার), অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোঃ আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), সিআইডি প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) মোহাম্মদ আলী মিয়া বিপিএম, পিপিএম, ডিআইজি (হেডকোয়ার্টার্স) খন্দকার লুৎফল কবির বিপিএম, পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. শামছুন্নাহার পিপিএম। সভায় অতিরিক্ত আইজিপিগণ, ডিআইজিবৃন্দ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগণ তাঁদের বক্তব্যে খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম এর চাকরি জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, পুলিশিং একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। খন্দকার গোলাম ফারুক পেশাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিদায়ী অতিথির সুস্থতা এবং সুখী-সুন্দর অবসর জীবন কামনা করেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, চাকরি জীবনে আমি সিনিয়র-জুনিয়র সকল কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। তিনি আইজিপি মহোদয়সহ সকল সহকর্মীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুরের ঘাটান্দি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯১ সালের ২০ জানুয়ারি ১২তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ৩২ বছর ৮ মাসের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর অ্যাডিশনাল আইজিপি হিসেবে পদোন্নিত পান। পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দুইবার বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) পদক এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পদকে ভূষিত হন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও তিন কন্যা সন্তানের জনক।