এরপর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় ২৫ টা প্রবেশমূল্য দিয়ে এখানে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
এ সময় রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে, আরো অনেক কাজ করা হবে। এখানে ওয়াচ টাওয়ার, অ্যাকুয়ারিয়াম, এমপি থিয়েটার নির্মাণ করা হবে। শিশুদের বিনোদনের জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরনের রাইডস। পর্যায়ক্রমে এসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
মেয়র আরো বলেন, এতো অল্প জায়গায় আসলে চিড়িয়াখানা হতে পারে না। সুতরাং এখানে কোন পশুপাখি আনা হবে না। ভবিষ্যতে রাজশাহীতে একটি সাফারী পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামান, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি,৮ নং ওয়ার্ড এর নবনির্বাচিত কাউন্সিলর জানে আলম জনি, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবিএম হাবিবুল্লাহ ডলার, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাঈদ, নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান ইমন, নির্বাহী প্রকৌশলী নিলুফার ইয়াসমিন সহ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার বিভিন্ন উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের মধ্যে রয়েছে, অভ্যন্তরীণ ওয়াকওয়ে ও রাস্তা নির্মাণ, ফেরিজহুইল সংস্কার, পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্য্যবর্ধন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, হরি, ঘড়িয়াল ও পাখির খাচা সংস্কার, বাউন্ডারি ওয়াল পুনঃনির্মাণ, নতুন তিনটি গেট নির্মাণ, অরণ্য রির্সোট নির্মাণ, ফুডকোর্ট নির্মাণ।