রাজশাহী মহানগরীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে যুবক ও স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়ে পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে নগরভবনে সরিৎ দত্ত সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ.বি.এম শরীফ উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সকলের সম্পৃক্ততায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা সম্ভব। আগে মনে করা হতো এটি শুধু ঢাকার বিষয়। এখন এটি সারাদেশের বিষয়। অভিজাত এলাকায় এটি আর সীমাবদ্ধ নাই। প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে আক্রান্ত, মৃত্যুর খবর। সকল মহলের সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। মসজিদের ইমামদের নামাজের পর বার্তা মুসল্লীদের বার্তা প্রেরণ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজকে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সবলভাবে গড়ে তুলতে এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রাজশাহী যনগরীকে নিরাপদ স্বাস্থ্যকর নগরী রূপে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীতে সিটি হাসপাতালসহ আরবান প্রাইমারী হেলথ সেন্টারে বিনামূল্যে ডেঙ্গুজ¦রের টেস্ট করা হচ্ছে। একই সাথে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সহ সকল পরামর্শ প্রদান করা হচেছ। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদারসহ, নগরীতে ডেঙ্গু রোগীর সনাক্ত এলাকায় বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইউনিসেফের সহযোগিতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সমন্বয়ে সভার আয়োজন করছে। এর ফলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
পরিকল্পনা সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে তথ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফ.এ.এম আঞ্জুমান আরা বেগম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের সোস্যাল এন্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ অফিসার মুঞ্জুর আহমেদ।
সভায় রাসিকের গবেষণা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, মনিটরিং কর্মকর্তা (মশক) জুবায়ের হোসেন মুন, মশক শাখার অন্যান্য কর্মকর্তা, ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ, জাগো ফাউন্ডেশন, ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ, স্বেচ্ছাসেবক পরিবর্তন এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।#