খুলনার রুপসা উপলেয়ার নৌহাটিতে জোরপূর্বক ০৫ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১২ আগস্ট শনিবার খুলনা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা করেছেন জমির মালিক দেলোয়ার হোসেন।
অভিযোগে বিবাদী করা হয়েছে উপজেলার নৈহাটির এলাকার এসআই মিজান শেখ, আজাহার শেখের ছেলে বাবু শেখ, আকবর আলীর ছেলে বিল্লাল শেখ, আলকাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ইসমাইল হাওলাদার।
বাদী পক্ষের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ আগস্ট শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বাদী দেলোয়ার হোসেনের ডিসিয়ারের আবেদন কৃত ০৫ বিঘা ডিসি আর কাটা সম্পত্তিতে বিবাদীরা জোর পূর্বক ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করতে আসে। সেখানে বাধা দিলে বিবাদীরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে প্রমাণ হিসাবে ভিডিও ধারণ করে তখন বিবাদী বাবু শেখ মোবাইল কেড়ে নেয়। তারপর বিবাদীরার তাকে লাথি, কিল ঘুসি মারতে থাকে একপর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে গেলে বুকের উপর পা দিয়ে ধরে। জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। গলায় থাকা ১২ আনা সোনার চেইন নিয়ে নেয়। বাদী, তার স্ত্রী ও তার ছেলে বাধা দিতে গেলে। বিবাদীগণ সবাইকে মারধর করে। তখন এসআই মিজান বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র বাবু শেখের হাতে দিয়ে বলেন , “একটাকেও জীবিত রাখবি না, যা হবে আমি দেখব”। তখন দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে দেলোয়ারের স্ত্রী আহত হন। এরপর তাকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার জমিতে তারা জোরপূর্বক ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করতে আসে। আমি সেখানে বাধা প্রদান করলে আমাকে গালিগালাজ করে। আমার মেয়েকে লাথি, কিল-ঘুসি মেরে আহত করে, পরে আমার স্ত্রীকেও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে আহত করে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই মিজান শেখ বলেন, আমাদের এখানে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তারা সেখানে অন্যজনের সাথে ঝামেলা করছিল আমার ভাই সেখানে সেটা থামাতে গিয়েছিল, সেখানে আমার বড় ভাইকে তারা ঘুসি দিয়েছে। পরে খবর পেয়ে সেখানে যাই, ওখানে আগে কি হয়েছে জানিনা। আমরা কি কাজের লোকের সাথে মারামারি করতে যাব? সেখানে তো আমার কোন স্বার্থ নাই। আমার পরিবার নিয়ে ঝামেলা করলে ওর আরো সমস্যা বাড়বে।
তাদেরকে হুমকি দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই, আমার পরিবারকে নিয়ে ঝামেলা করলে ঝামেলা বাড়বে।