মশা নিয়ন্ত্রণ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১৫ দিনের বিশেষ অভিযান শুরু করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের টিএন্ডটি কলোনী এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতার বিশেষ অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সরিফুল ইসলাম বাবু।
১৫ দিনের এই অভিযানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, ড্রেন পরিস্কার, লার্ভিসাইড দিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস সহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রায় ১৩০০ কর্মী এই কাজে নিয়োজিত থাকবে। বিশেষ অভিযান শেষে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উদ্বোধনকালে সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সকলকে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। এলক্ষ্যে মহানগরবাসীকে সম্পৃক্ত করে একাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে এ অভিযান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, জনসচেতনতা এবং মশার বংশবিস্তার রোধের বিকল্প নেই। এসব বিষয়ে কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করা হবে। সভায় ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তার রোধ, ঝোপঝাঁড় জঙ্গল পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন কোন বাড়ি, ভবন ও প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতি ওয়াক্তে মসজিদে নামাজের পূর্বে ইমামগণকে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে বক্তব্য রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরবাসীকে সচেতন করতে স্বাস্থ্যকর্মীরাগণ এ সংক্রান্ত লিফলেট বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছেন।পাড়া মহল্লায় মাইকিং করা হচ্ছে, ফুলের টব, ভাঙ্গা হাড়ি-পাতিল, গাড়ীর পরিত্যক্ত টায়ার, টিনের কোঁটা, ভাঙ্গা কলস, ড্রাম, ডাব-নারিকেলের খোসা, এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটারের তলায় পানি জমতে দেবেন না।
যেসব স্থানে মশা জন্মাতে পারে সেসব স্থানে পানি জমতে দেবেন না। বাড়ীর ভেতরে, আশ-পাশ ও আঙ্গিনা পরিস্কার করুন। দিনে ঘুমানোর সময়ও মশারি ব্যবহার করুন।
ডাব-নারিকেলের খোসা, ভাঙ্গা কলস, টিনের কৌটা ব্যবহারের পর জমিয়ে না রেখে মাটিতে পুঁতে রাখুন। নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি, সবাই মিলে সুস্থ্য থাকি।
প্রতিরোধ ও প্রচেষ্টায় অবহেলা ও সচেতনতার অভাবে ডেঙ্গু জ্বরের বিস্তার যাতে না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিজে সচেতন থাকবো, নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবো।