বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয়ভাবে সারাদেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন। আমরা রাজশাহীতে স্থানীয়ভাবে উন্নয়নের যে ধারা সূচনা করেছি, সেটি অব্যাহত রাখতে চাই। রাজশাহীর মানুষের জন্য কর্মের ব্যবস্থা করতে চাই। রাজশাহীবাসীর প্রতি আমার আহ্বান আপনাদের কল্যানে কাজ করতে আমাকে আরেকটিবার সুযোগ দিন।’সোমবার (১৯ জুন) দুপুর ১২টায় নগরীর নানকিং দরবার হলে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’ প্রোগ্রামে এসব কথা বলেন তিনি।
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ২ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করি। প্রচার-প্রচারণার বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সহ বিভিন সংগঠনের সাথে মতবিনিময় করেছি, ওয়ার্ড পর্যায়ে পাড়া-মহল্লায় হাট-বাজারে গণসংযোগ করেছি। প্রচারে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। মেয়র পদে আমি সহ তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সব মিলিয়ে ২১ জুন উৎসবমুখর ও আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এবার আমার নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথম বিষয়টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। রাজশাহীর মানুষের জন্য কর্মের ব্যবস্থা করা, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলোকে কার্যকর করা। রাজশাহীতে ইতোমধ্যে বিসিক শিল্প নগরী-২ তৈরি হয়েছে। সেখানে বিনোয়োগকারী এনে শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হবে। নগরীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেখানে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মের ব্যবস্থা হবে। পদ্মা নদীকে বাণিজ্যিক ব্যবহার করতে চাই। ভারতের মুর্শিবাদের ধুলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে রাজশাহী হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌরুট চালু করতে চাই। এটি চালু হবে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে, কর্মংস্থান বাড়বে।
রাজশাহী নগরবাসীকে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, কোন রকম ভয়-ভীতি ছাড়াই আপনারা সবাই ভোট কেন্দ্র আসুন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করবেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপিসহ সকল দল নির্বাচনে আসলে আমরা খুঁশি হতাম। কিন্তু তারা নানা শর্ত আরোপ করে নির্বাচনে আসলেন না, সেটি তাদের বিষয়।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচন কমিশন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী যেভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, আমি মনে করি কেউ যদি নির্বাচনে অন্য কিছু করার চিন্তা করেন তাহলে তারা সফল হবে পারবেন না। নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশের ব্যত্যয় ঘটানোর অপচেষ্টা করলে নির্বাচন কমিশন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিবেন। প্রয়োজনে আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণকে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।
অনুষ্ঠান মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, তবিবুর রহমান শেখ. নাইমুল হুদা রানা। সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু।
এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা:ফ. ম. আ. জাহিদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, সদস্য ইউনুস আলী, মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা বেগম, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।