- : গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২ এর ই-ব্লক-, কালশী পানির পাম্পাসের সামনে অবস্থানকালে সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) চিন্ময় সরকার ও তার সঙ্গীয় অফিসার এএসআই মোঃ মাহফুজুল হক, কনস্টেবল আল আমিন, নারী কনস্টেবল শান্তা আক্তার ও আনসার মোঃ রেজাউল করিমকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারিকে আটক করে পল্লবী থানা পুলিশ।
তারা হলেন- মোঃ সাফায়েত হোসেন (৩১), বিউটি আক্তার (২৯), আটকের সময় সাফায়েত হোসেনের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে ৮ (আট) কেজি ও বিউটি আক্তারের কাছ থেকে ২ (দুই) কেজি এবং জিজ্ঞাসাবাদে তাদের তথ্য অনুযায়ী টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের বর্তমান ঠিকানা গাজীপুর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পাগাড় বিসিক শিল্প নগরীর একটি ৫ম তলা বাড়ির নিচ তলা সাফায়েত হোসেন (৩১) এর শয়ন কক্ষের ভেতর থেকে আরও ৫ (পাঁচ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এসআই চিন্ময় সরকার বলেন- আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা স্বামী-স্ত্রী নয়। কিন্তু তারা মাদক ব্যবসার সুবিধার্থে পূর্বে কেরানীগঞ্জে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। সেখানে তাদের সেলসম্যান গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তারা পুনরায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পাগাড় বিসিক শিল্প এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গাঁজা সাপ্লাই দিয়ে আসছে। আসামি সাফায়েত ভারত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ভারত সিমান্ত এলাকা দিয়ে উক্ত গাঁজা নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবদে আসামিরা আরও জানায় যে তারা কখনো ৫০ কেজির নিচে ভারত থেকে গাঁজা নামায় না।
এসআই চিন্ময় সরকার আরও বলেন- পুরো অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন পল্লবী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহিদুল ইসলাম স্যার ও পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান স্যার। তিনি বলেন স্যারদের আন্তরিকতা ও সার্বিক সহযোগিতায় আমরা এই অভিযান পরিচালনায় সফল হয়েছি। আমি আমার স্যারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আমার টিম সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন- অপরাধীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন- আমি পল্লবীতে মাত্র কয়েক দিন হলো যোগদান করেছি। আমাকে একটু সময় দিন। পল্লবীবাসী ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা পেলে আমরা এই এলাকাকে মাদক, কিশোরগ্যাংসহ সকল অপরাধ মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।