Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
স্বামী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী স্ত্রী গ্রেফতার
ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বামী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী স্ত্রী গ্রেফতার

২০১১ সালে লক্ষীপুর সদরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী দেলু বেগম’কে দীর্ঘ ১২ বছর পর র‌্যাব-৭ এবং র‌্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে ফেনী হতে গ্রেফতার।

গত ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাতে আসামী দেলু বেগম পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্বামী ভিকটিম মহরম আলী@মোহন(৩৫)’কে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করেন। ঐ রাতে ভিকটিম মহরম আলীর মা জাহানারা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। রাত আনুমানিক ১:০০ ঘটিকার ভিকটিমের মা মোবাইল ফোনে ছেলের মৃত্যু সংবাদ পান। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ছেলেকে হত্যার অভিযোগে পুত্রবধূ দিলু বেগমকে আসামি করে লক্ষীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-৬৪, তারিখ-৩১ মার্চ ২০১১ ইং, জিআর নং-১৮১/১১ ইং, ধারা-৩০২ পেনাল কোড-১৮৬০। উক্ত অমানবিক ও পাশবিক ঘটনাটি সে সময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়াসহ সারাদেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে মামলার এজারহার নামীয় আসামী দিলু বেগমকে মামলা রুজুর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিলু বেগমকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। মামলা চলাকালীন সময়ে আসামী দিলু বেগম জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। আসামী দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় স্বামী মহরম আলী@মোহন’কে হত্যা করার অপরাধে আসামীর অনুপস্থিতিতে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত, লক্ষীপুর গত ১১ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে আসামী দিলু বেগম’কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ০১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

র‌্যাব-৭,সিনিঃ সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার জানান , চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী স্ত্রী দিলু বেগমকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে ছদ্মনাম ধারণ করে ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন বিজয় সিংহ সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ২৬ মে ২০২৩ খিঃ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী দিলু বেগম (৩৮), পিতা- মৃত আব্দুল খালেক, সাং- দক্ষিণ চন্ডিপুর, থানা ও জেলা- ফেনী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মনাম ধারণ করে দীর্ঘ ১২ বছর ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পেশায় আত্মগোপন করে ছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালী’র লোকমানের বিরুদ্ধে দুদেকে অভিযোগ 

স্বামী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী স্ত্রী গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৪:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

২০১১ সালে লক্ষীপুর সদরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী দেলু বেগম’কে দীর্ঘ ১২ বছর পর র‌্যাব-৭ এবং র‌্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে ফেনী হতে গ্রেফতার।

গত ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাতে আসামী দেলু বেগম পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্বামী ভিকটিম মহরম আলী@মোহন(৩৫)’কে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করেন। ঐ রাতে ভিকটিম মহরম আলীর মা জাহানারা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। রাত আনুমানিক ১:০০ ঘটিকার ভিকটিমের মা মোবাইল ফোনে ছেলের মৃত্যু সংবাদ পান। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ছেলেকে হত্যার অভিযোগে পুত্রবধূ দিলু বেগমকে আসামি করে লক্ষীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-৬৪, তারিখ-৩১ মার্চ ২০১১ ইং, জিআর নং-১৮১/১১ ইং, ধারা-৩০২ পেনাল কোড-১৮৬০। উক্ত অমানবিক ও পাশবিক ঘটনাটি সে সময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়াসহ সারাদেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে মামলার এজারহার নামীয় আসামী দিলু বেগমকে মামলা রুজুর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিলু বেগমকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। মামলা চলাকালীন সময়ে আসামী দিলু বেগম জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। আসামী দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় স্বামী মহরম আলী@মোহন’কে হত্যা করার অপরাধে আসামীর অনুপস্থিতিতে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত, লক্ষীপুর গত ১১ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে আসামী দিলু বেগম’কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ০১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

র‌্যাব-৭,সিনিঃ সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার জানান , চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী স্ত্রী দিলু বেগমকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে ছদ্মনাম ধারণ করে ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন বিজয় সিংহ সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ২৬ মে ২০২৩ খিঃ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী দিলু বেগম (৩৮), পিতা- মৃত আব্দুল খালেক, সাং- দক্ষিণ চন্ডিপুর, থানা ও জেলা- ফেনী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মনাম ধারণ করে দীর্ঘ ১২ বছর ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পেশায় আত্মগোপন করে ছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।