রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মরগা বিলে ফসলি জমিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পুকুর খনন করছিলেন হরিদাগাছি গ্রামের মৃত ইসরাইল সোনারের ছেলে জাতীয় পাটির নেতা বাবলু হোসেন। গত ২৫ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান মোহনপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রিযাংকা দাস। ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে বিল দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান বাবলু হোসেন। এসময় পুকুর কাটা যন্ত্রের চালকসহ বাবলু সহকারি শুকুর আলীকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩০ হাজার টাকা জরিমানায় তারা মুক্তি পায়।
পরের দিন ২৬ মে শুক্রবার সন্ধার পর বাবলু হোসেন কেশরহাট-ভবানীগঞ্জ সড়কে ২০/২৫ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী প্রহরায় পুনরাই পুকুর খনন শুরু করেন। বিলের মাঝে রাস্তার উপর লাঠিয়াল বাহীনিকে দেখে ভয়ে উল্টোপথে ফিরে যায় মোটরসাইকেল চালকসহ যান চালকরা। দ্রুত এখবর কেশরহাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচার হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মোহনপুর থানা পুলিশকে অবগত করে। খবর পাওয়া মাত্র মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম বাদশাহ তাৎক্ষণিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযানে বের হন। পুলিশ যাওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে ভ্যেকু মেশিন বন্ধ করে লাঠিয়াল বাহিনীসহ বাবলু হোসেন বিলের মধ্যদিয়ে ইসলাবাড়ি ও গোপইল গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর বাবলু বাহিনীকে ধরতে পুলিশ মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম বাদশাহ বলেন, মরগা বিলে পুকুর খনন করছিল কেশরহাট পৌর এলাকার হরিদাগাছি গ্রামের বাবলু হোসেন। সে সড়কে লাঠিয়াল প্রহরাই রেখে পুকুর কাটছিল এমন খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে পুকুর খননকারি বাবলুসহ সবাই পালিয়ে যায়। জনমনে ভীতি সৃষ্টির জন্য তাদের আটক করতে এ অভিযান চালানো হয়।