দীঘিনালায় মেরুং হেডকোয়ার্টার মোঃ কামাল নামে এক ব্যক্তি জায়গা নিয়ে বিরোধ করে আসছে বহু বছর ধরে মেরং মৃত মোবারক হোসেনের ফ্যামিলির সাথে।
গতকাল ৬ মে বিকাল ৫ ঘটিকায় অভিযুক্ত কামালের বাড়ির সামনে এমন হতাহতের ঘটনা জানা গেছে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ কামালের স্ত্রী মোসাম্মৎ আসমা বেগমের কাছ থেকে জানা গেছে মৃত: মোবারকের পরিবারের সাথে আমাদের জায়গা নিয়ে কয়েক বছর ধরে দন্ড চলছে। কিন্তু এক পক্ষ মেনে নিলে আরেক পক্ষ মানেন না। গতকাল ৬ মে বিকেল পাঁচটার সময় আমার স্বামী বাসার সবজি গাছে পানি দিচ্ছিল তখন মৃত: মোবারকের স্ত্রী সাফিয়া বেগম তার মেয়ের শিশু বাচ্চা কে নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তখন আমার স্বামী মোহাম্মদ কামাল আমাকে গালমন্দ করছিল কিন্তু মৃত মোবারক এর স্ত্রী ভেবে নেয় তাকে গালমন্দ করছে তখন এক পর্যায়ে হঠাৎ মারামারি শুরু হয়ে গেল আর তখন আমি রান্না ঘরে ছিলাম। রান্নাঘর থেকে এসে দেখি আমার স্বামী মোঃ কামাল কে ধরাধরি করতেছে এক পর্যায়ে একটি বাড়ি অস্ত্র দিয়ে নিজের জীবন বাঁচাতে মৃত: মোবারক এর স্ত্রীর মাথায় একটি বাড়ি লাগে এবং পরপর আরেকটি বাড়ি তার হাতে লাগে তার কোলে থাকা এক বছরের শিশু বাচ্চা অবিয়াস এর মাথায় আরেকটি বাড়ি লাগে এতে আহত হয় মৃত মোবারকের স্ত্রী ও তার মেয়ের শিশু বাচ্চা অবিয়াস। তাৎক্ষণিকভাবে দীঘিনালা হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রিসিভ করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। তারপর প্রাথমিকভাবে জানা যায় মৃত: মোবারকের স্ত্রী সাফিয়া বেগম এর মাথা প্রচন্ড কেটে যায় সেলাই করা হয় ১০ থেকে ১২টি এবং তার কোলে থাকা শিশুর মাথাও কেটে যায় তাতে সেলাই লাগে চার থেকে পাঁচটি ।
ঘটনাস্থলে থাকা মোছা: কুসুম আক্তার (২০) জানায়
মোঃ কামাল দীর্ঘদিন ধরে এমন অত্যাচার মারামারি করে আসতেছে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে মৃত মোবারক হোসেনের ফ্যামিলির সাথে। সে এলাকার কোন গণমান্য ব্যক্তিদের সমাধান মানেন না মো:কামাল । পাশের বাড়ির গঠনাস্থলে থাকা মোছাম্মদ রোজিনা আক্তার বলে,এই কামাল এমন নিষ্ঠুর ভাবে শিশু বাচ্চার মাথায় বাড়ি অস্ত্র দিয়ে গুরুতর ভাবে আঘাত করে এবং মৃত মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম কে মারদোর করে বলে জানায়।