রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আয়েন উদ্দিনের চরম ইমেজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে, অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এবার মনোনয়ন পেতে তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
তবে তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে মনোনয়ন দৌড়ে আসাদুজ্জামান আসাদ এগিয়ে রয়েছে।ইতমধ্যে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তৃণমুলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকেরা আয়েন উদ্দিনের বিকল্প নেতৃত্ব দিতে দলের নীতিনির্ধারক মহলের কাছে আবেদন করেছে। ফলে প্রার্থী পরিবর্তনের গুঞ্জন উঠেছে। এমপি আয়েন উদ্দিনের বিকল্প হিসেবে তারা জেলার সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও আলোচনায় রয়েছে।
আয়েনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ইত্যাদি নানা কারণে নির্বাচনী এলকায় তার চরম ইমেজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যে কারণে তৃণমুল তার বিকল্প নেতৃত্বের দাবি করেছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, রাজশাহী-৩ সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় শুরু হয়েছে ভোটের হাওয়া। এখানে এবার
আওয়ামী লীগের তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক, সেরা সংগঠক ও তৃণমূলের প্রাণ কর্মী-জনবান্ধব নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ। দলীয় নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মতামত এবং ভোটারদের মানসিকতা বিচার-বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন দেয়া হলে আসাদের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। আদর্শিক ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ ও গণমানুষের নেতা আসাদুজ্জামান আসাদকে এবার এমপি হিসেবে দেখতে চাই দলমত নির্বিশেষে এই আসনের সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে আসাদকে ঘিরে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে,। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
রাজশাহী সিটিকর্পোরেশন সংলগ্ন এই আসনের গুরুত্বটাও অনেক বেশি যে কোনো মূল্য আসনটি আবারো দখলে রাখতে চাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ওদিকে তৃণমূলের দাবি আসনটি এবার ধরে রাখতে হলে আদর্শিক প্রবীণ-ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ, আস্থা-ও গতিশীল নেতৃত্ব, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন প্রার্থী প্রয়োজন।
আর এসব বিবেচনায় এখানে
আসাদের কোনো বিকল্প নাই।তৃণমূলের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আয়েন উদ্দীন এমপি হবার পর তিনি ও তার আত্মীয়-স্বজন এবং ঘনিষ্ঠরা নিয়োগ ও তদ্বির বাণিজ্য, জমি দখল, উন্নয়ন কাজের ভাগাভাগীসহ নানা ধরণের বির্তকিত কর্মকান্ড করে এমপি আয়েনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়েছে। এসব কারণে তৃণমূলে তিনি অনেকটা জনবিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন।
এবার আসনটি ধরে রাখতে হলে নতুন মূখের প্রার্থী বা বিকল্প নেতৃত্ব ব্যতিত আসন ধরে রাখা আওয়ামী লীগের জন্য প্রায় অসম্ভব। এক্ষেত্রে এখানে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে আসাদুজ্জামান আসাদকে পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। ইতমধ্যে আসাদকে সম্ভাব্য প্রার্থী ধরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বিরোধীরাও আসাদকে সাম্ভব্য প্রার্থী থরে নিয়ে তাদের নির্বাচনী পরিকল্পনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে শুধু আওয়ামী লীগ নয় দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে আসাদের যেই আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তাকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে একদিকে তার বিজয় হবে অন্যদিকে জেলার দীর্ঘদিনের দলীয়কোন্দলের অবসান হবে নিশ্চিত ।
তার এমপি প্রার্থীর হবার মতো সকল যোগ্যতা থাকার পরেও মনোনয়ন প্রাপ্তির অশুভ প্রতিযোগীতার কাছে তিনি বার বার হেরে যান। তবে এবার আর সেটা হবার কোনো সম্ভবনা নাই, রাজশাহীর মহাসমাবেশে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেই বার্তায় দিয়ে গেছেন বলে তৃণমূলের অভিমত।
রাজশাহী আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ আসাদকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, আসাদুজ্জামান আসাদ দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব। দল ও জনগণের অধিকার রক্ষার তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ, কর্মী-জনবান্ধব এবং পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক। প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার সংগ্রাম।
রাজশাহী আওয়ামী লীগকে অর্থ নয় মেধার কাছে জিম্মি রাখতে চান তিনি। আর একারণেই তিনি একশ্রেণীর বিত্তশীল ও কালো টাকাওয়ালা নেতৃত্বের চোখের বালি। আসাদুজ্জামান আসাদ বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে জেলা আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে নিরলস ভাবে কাজ করে যেতে চান।। রাজশাহীর প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ দলের প্রতিটি রাজনৈতিক অবস্থানে
সামনে থেকেছেন এবং এখনো আছেন।
ছাত্রলীগ, যুবলীগ হয়ে আজ আওয়ামী লীগে পৌচ্ছে দেখতে পাচ্ছেন এখনও তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার জায়গা নেই। তারা অনেক এমপি বা বড়
নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না। সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না নির্বাচিত হবার পরপরই অনেক এমপি হয়ে উঠে এলাকার জমিদার তারা ভূলে যায় দলের আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতার কথা,ভূলে যায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস্য সেই কথাও আসাদ এসব অবহেলিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকেছেন এখনও আছেন। তিনি জনগণের প্রতিনিধি হয়ে জনগণের মাঝেই মিশে থাকতে চান।
আসাদুজ্জামান আসাদ দলের একজন পরীক্ষিত নেতা রাজশাহী মহানগর, জেলা-উপজেলা,পৌরসভা বা ইউনিয়ন যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। আসাদুজ্জামানের মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভরসাও তারাই। কিন্তু তাদের সংগঠিত করার মতো নেতৃত্বের অভাব, তবে তিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই অভাব দুর করতে চান রাজশাহীর প্রতিটি অঞ্চলে রয়েছে তার লাখো ভক্ত, অনুরাগী ও সর্মথক, তিনি
হয়েছে উঠেছেন রাজশাহী অঞ্চলের রাজনীতিতে রোল মডেল অনেক এমপি, মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী তাকে অনুসরণ করে রাজনীতি করতে শুরু করেছেন ।
জানা যায়, মুক্তিযদ্ধের চেতনাপুষ্ট পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠেছেন আসাদুজ্জামান আসাদ। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আসাদ রাজনীতিতে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার একটি নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সব সময় সক্রিয় থেকেছেন। ১৯৮৪ সালে রাজশাহী মহানগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৫ সালে দায়িত্ব পান রাজশাহী সিটি কলেজের সভাপতির। সিটি কলেজে ছাত্রদল ও শিবিরের বৈরী রাজনীতির মাঝেও আসাদ এখানে ছাত্রলীগকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যান। ১৯৮৮ সালে আসাদ রাজশাহী মহানগরছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ।
১৯৮৯ সালে হন মহানগর ছাত্রলীগের
সভাপতি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি ছাত্রলীগকে সাফল্যের সঙ্গে সংগঠিত করেন এবং তৎকালিন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আসাদ রাজশাহীতে ছাত্র সমাজের মধ্যমণি হিসাবে ব্যাপক ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তার আপোষহীণ ভূমিকা ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে আসাদকেই দেয়া হয় মহানগর সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যর মুল সমন্বয়কের দায়িত্ব। ১৯৯০ সালে আসাদ রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একই বছরে সাধারণ সম্পাদক, ৯৬ সালে জেলা যুবলীগের আহবায়ক, ৯৭ সালে জেলা যুবলীগের
সভাপতি এবং যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০০৩ সাল পর্যšত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৩ সালে সাধারণ
সম্পাদক নির্বাচিত হন। আসাদুজ্জামান আসাদ এখনও তার নেতৃত্বের গুণে গণমানুষের নেতা হিসাবে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ সহযোগী সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয় এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তকেই তাদের প্রতিনিধি মণে করেণ ও যে কোন সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিন্ত্ত আসাদ তাদের কথা শোনেন। আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন এখনও আছেন। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে থেকে দীর্ঘসময় রাজনীতিতে দলীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছি এখনো দিয়ে যাচ্ছি । তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই দলের প্রাণ। এ প্রসঙ্গে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক জৈষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না
করার শর্তে বলেন, আসাদুজ্জামান আসাদ সব সময় দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এখনো আছেন।
তিনি বলেন, আসাদ একজন পরীক্ষিত নেতা। দলের যে কোন প্রয়োজনে তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন, এমন জন ও কর্মীবান্ধব রাজনৈতিক
নেতা এমপি হলে তা হবে দল ও দলের নেতাকর্মীদের জন্য অনেক বড় পাওয়া তিনি বলেন, আমরা ইতমধ্যে দলের হাইকমান্ডের কাছে দাবি করেছি এমপি নির্বাচনে আসাদকে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন দিতে ।