Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
সরকারি-বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় খায়রুজ্জামান লিটন ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ রাজশাহীর শিক্ষাক্ষেত্রকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই’
ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি-বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় খায়রুজ্জামান লিটন ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ রাজশাহীর শিক্ষাক্ষেত্রকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীকে আমরা শিক্ষানগরীর বলি। যদিও এটির প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি এখনো নেই। আগামীতে রাজশাহীকে পুর্নাঙ্গ শিক্ষানগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কিছু কাজ বাকি আছে। তার মধ্যে একটি হলো পুর্নাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ আছে, সেখানে ভবন সহ জায়গাও আছে, শিক্ষক আছে, এখন শুধু ঘোষণা প্রয়োজন। রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গালর্স ক্যাডেট কলেজ সহ রাজশাহীর শিক্ষাক্ষেত্রকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

শনিবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়ামে রাজশাহীর সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় অংশ নিয়ে শিক্ষকরা রাজশাহীর শিক্ষাক্ষেত্রকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। একইসাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান হয়ে রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আবারো মেয়র নির্বাচিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন শিক্ষকরা।

মতবিনিময় সভায় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ, কর্ণফুলী টানেল, রামপাল, মাতারবাড়ি, ঈশ^রদী বিদ্যুৎ প্রকল্প আজ সকলের সামনে দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ ছিল বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।

মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে সর্ববৃহৎ ২৭শ কোটি টাকার অনুমোদন দেন। সেই প্রকল্পের ইতোমধ্যে ১২শ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আরও ১৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। আমি পুনরায় নির্বাচিত হলে আরো ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। রাজশাহীর নগরীর আয়তন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিমানবন্দর উন্নয়ন হচ্ছে। রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন, বাস চালু করা হবে। বিসিক-২ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। প্লট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের এখানে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। শহরের আয়তন বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাজশাহীকে পর্যটন নগরী রূপে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

মেয়র আরো বলেন, আমি শুধু স্বপ্ন দেখায়না বাস্তবায়ন করি। সকলকে নিয়েই আরো উন্নত ও সুন্দর রাজশাহী গড়ে তুলতে চাই।

সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি রাজশাহী জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কালাচাদ শীল, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনারুল হক প্রাং, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনা আবেদীন। সভায় রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহা. হবিবুর রহমান সহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুজ্জামান মানিক, শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি রাজশাহী জেলা সভাপতি ড. গোলাম মাওলা, কারিগরি শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইলিয়াস আলী। সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান ও শাহমখদুম কলেজের অধ্যক্ষ এসএম রেজাউল ইসলাম।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালী’র লোকমানের বিরুদ্ধে দুদেকে অভিযোগ 

সরকারি-বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় খায়রুজ্জামান লিটন ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ রাজশাহীর শিক্ষাক্ষেত্রকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই’

আপডেট সময় ০৮:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীকে আমরা শিক্ষানগরীর বলি। যদিও এটির প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি এখনো নেই। আগামীতে রাজশাহীকে পুর্নাঙ্গ শিক্ষানগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কিছু কাজ বাকি আছে। তার মধ্যে একটি হলো পুর্নাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ আছে, সেখানে ভবন সহ জায়গাও আছে, শিক্ষক আছে, এখন শুধু ঘোষণা প্রয়োজন। রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গালর্স ক্যাডেট কলেজ সহ রাজশাহীর শিক্ষাক্ষেত্রকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

শনিবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়ামে রাজশাহীর সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় অংশ নিয়ে শিক্ষকরা রাজশাহীর শিক্ষাক্ষেত্রকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। একইসাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান হয়ে রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আবারো মেয়র নির্বাচিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন শিক্ষকরা।

মতবিনিময় সভায় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ, কর্ণফুলী টানেল, রামপাল, মাতারবাড়ি, ঈশ^রদী বিদ্যুৎ প্রকল্প আজ সকলের সামনে দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ ছিল বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।

মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে সর্ববৃহৎ ২৭শ কোটি টাকার অনুমোদন দেন। সেই প্রকল্পের ইতোমধ্যে ১২শ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আরও ১৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। আমি পুনরায় নির্বাচিত হলে আরো ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। রাজশাহীর নগরীর আয়তন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিমানবন্দর উন্নয়ন হচ্ছে। রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন, বাস চালু করা হবে। বিসিক-২ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। প্লট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের এখানে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। শহরের আয়তন বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাজশাহীকে পর্যটন নগরী রূপে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

মেয়র আরো বলেন, আমি শুধু স্বপ্ন দেখায়না বাস্তবায়ন করি। সকলকে নিয়েই আরো উন্নত ও সুন্দর রাজশাহী গড়ে তুলতে চাই।

সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি রাজশাহী জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কালাচাদ শীল, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনারুল হক প্রাং, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনা আবেদীন। সভায় রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহা. হবিবুর রহমান সহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুজ্জামান মানিক, শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি রাজশাহী জেলা সভাপতি ড. গোলাম মাওলা, কারিগরি শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইলিয়াস আলী। সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান ও শাহমখদুম কলেজের অধ্যক্ষ এসএম রেজাউল ইসলাম।