Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শনকালে খায়রুজ্জামান লিটন ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় রাজশাহী শহরে তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না’
ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শনকালে খায়রুজ্জামান লিটন ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় রাজশাহী শহরে তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৭:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি।

‘রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসার
জন্য নারীদের মধ্যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে’

আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব-৩ হাসান জাহিদ তুষার সহ প্রতিনিধিবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখার জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এতোটাই বেশি দৃশ্যমান হয়েছে, মানুষ এখন সরাসরি তা দেখতে পাচ্ছে, তার সুফল ভোগ করছে। সারাদেশের মতো আমাদের রাজশাহী বিভাগেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাবনার রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াটের পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, এই বছরের মধ্যে তার প্রথম পর্ব চালু হয়ে যাবে-ইনশাল্লাহ। একই সঙ্গে হাটিকুরুল থেকে বাংলাবান্ধা সীমান্ত পর্যন্ত ফোরলেন সড়ক নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া নদী ড্রেজিং, চারঘাট-বাঘা এলাকায় প্রায় ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর ধার বাঁধাই করার কাজ চলমান রয়েছে, রাস্তা প্রশস্তকরণ চলছে এবং শুধুমাত্র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকার উন্নয়নের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন, সেই মেগা প্রজেক্টের কাজ চলছে। সিটির বাইরে অন্যান্য গ্রামীণ যে জনপদ আছে, সেখানে অসংখ্য আধুনিক স্কুল-কলেজ, প্রাইমারি চিকিৎসাকেন্দ্রে সেবা পাচ্ছে এবং সিটির বাইরে গ্রামীণ জনপদে মানুষের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন, মানুষ তা অকাতরে পাচ্ছে।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসার জন্য নারীদের মধ্যে একটা গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নারীরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, শেখ হাসিনা মানেই নারীদের ক্ষমতায়ন, নারীদের ভাগ্যের পরিবর্তন এবং নারীরা সংসারে একটা যে কর্তৃত্ব পালন করেন, নেত্রীর এই অবদানের কারণে নারীরা তাদের পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে নৌকা মার্কায় দলে দলে ভোট দেবেন-এটা আমরা বিশ্বাস করছি।

খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। মহানগর পর্যায়ে ও জেলা পর্যায়ে সভা করেছি, বিভিন্ন কমিটিগুলো করেছি। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের নয়টি সাংগঠনিক জেলা, তাদেরকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সভা করেছেন। আগামী ২১ জানুয়ারি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ রাজশাহীতে আসবেন, তাঁরাও বিভাগীয় পর্যায়ে মিটিং করবেন। আমরা পাশ্বর্বতী জেলাগুলোতেও যাচ্ছি, প্রতিটি জেলাতেই আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। যতদিন যাবে আমাদের প্রস্তুত ততবেশি ব্যাপকভাবে অনুভূত হবে। এই মাদ্রামা মাঠ শুধু নয়, মাঠের পাশে যে ঈদমাঠ আছে সেটি সহ পুরো শহর লোকে লোকারণ্য হবে। মাঠ কানাই কানাই পরিপূর্ণ হয়ে শহরে তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না।

গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির ওই কর্মসূচিকে যদি জনসভা বলা হয়, তাহলে জনসভা শব্দটিকেই ছোট করা হয়। কারণ সেটা ছিল ছোট-খাটো একটা সমাবেশ, ৫/৭ হাজার মানুষ নিয়ে। তাদের কথিত ঘাঁটিতে তাদের লোক প্রদর্শন, শক্তি প্রদর্শন হাস্যকর ছিল এবং ফ্লপ ছিল। সেই তুলনায় আমরা দেখাতে চাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের কাণ্ডারি, তাঁর জনসভায় যে পরিমাণ নারী-পুরুষ আসবে, তাতে আমাদের সামনের দিনের লড়াই সংগ্রাম, বিএনপির লড়াই সংগ্রাম প্রতিহত করা এবং আগামী নির্বাচনে আমাদের বিজয়-এসব কিছুর একটা ছাপ আমরা পাব ইনশাল্লাহ।

মাঠ পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।#

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন; আহবায়ক দুলু সদস্য সচিব শাহীন

ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শনকালে খায়রুজ্জামান লিটন ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় রাজশাহী শহরে তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না’

আপডেট সময় ০৭:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
‘রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসার
জন্য নারীদের মধ্যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে’

আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব-৩ হাসান জাহিদ তুষার সহ প্রতিনিধিবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখার জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এতোটাই বেশি দৃশ্যমান হয়েছে, মানুষ এখন সরাসরি তা দেখতে পাচ্ছে, তার সুফল ভোগ করছে। সারাদেশের মতো আমাদের রাজশাহী বিভাগেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাবনার রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াটের পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, এই বছরের মধ্যে তার প্রথম পর্ব চালু হয়ে যাবে-ইনশাল্লাহ। একই সঙ্গে হাটিকুরুল থেকে বাংলাবান্ধা সীমান্ত পর্যন্ত ফোরলেন সড়ক নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া নদী ড্রেজিং, চারঘাট-বাঘা এলাকায় প্রায় ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর ধার বাঁধাই করার কাজ চলমান রয়েছে, রাস্তা প্রশস্তকরণ চলছে এবং শুধুমাত্র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকার উন্নয়নের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন, সেই মেগা প্রজেক্টের কাজ চলছে। সিটির বাইরে অন্যান্য গ্রামীণ যে জনপদ আছে, সেখানে অসংখ্য আধুনিক স্কুল-কলেজ, প্রাইমারি চিকিৎসাকেন্দ্রে সেবা পাচ্ছে এবং সিটির বাইরে গ্রামীণ জনপদে মানুষের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন, মানুষ তা অকাতরে পাচ্ছে।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসার জন্য নারীদের মধ্যে একটা গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নারীরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, শেখ হাসিনা মানেই নারীদের ক্ষমতায়ন, নারীদের ভাগ্যের পরিবর্তন এবং নারীরা সংসারে একটা যে কর্তৃত্ব পালন করেন, নেত্রীর এই অবদানের কারণে নারীরা তাদের পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে নৌকা মার্কায় দলে দলে ভোট দেবেন-এটা আমরা বিশ্বাস করছি।

খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। মহানগর পর্যায়ে ও জেলা পর্যায়ে সভা করেছি, বিভিন্ন কমিটিগুলো করেছি। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের নয়টি সাংগঠনিক জেলা, তাদেরকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সভা করেছেন। আগামী ২১ জানুয়ারি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ রাজশাহীতে আসবেন, তাঁরাও বিভাগীয় পর্যায়ে মিটিং করবেন। আমরা পাশ্বর্বতী জেলাগুলোতেও যাচ্ছি, প্রতিটি জেলাতেই আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। যতদিন যাবে আমাদের প্রস্তুত ততবেশি ব্যাপকভাবে অনুভূত হবে। এই মাদ্রামা মাঠ শুধু নয়, মাঠের পাশে যে ঈদমাঠ আছে সেটি সহ পুরো শহর লোকে লোকারণ্য হবে। মাঠ কানাই কানাই পরিপূর্ণ হয়ে শহরে তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না।

গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির ওই কর্মসূচিকে যদি জনসভা বলা হয়, তাহলে জনসভা শব্দটিকেই ছোট করা হয়। কারণ সেটা ছিল ছোট-খাটো একটা সমাবেশ, ৫/৭ হাজার মানুষ নিয়ে। তাদের কথিত ঘাঁটিতে তাদের লোক প্রদর্শন, শক্তি প্রদর্শন হাস্যকর ছিল এবং ফ্লপ ছিল। সেই তুলনায় আমরা দেখাতে চাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের কাণ্ডারি, তাঁর জনসভায় যে পরিমাণ নারী-পুরুষ আসবে, তাতে আমাদের সামনের দিনের লড়াই সংগ্রাম, বিএনপির লড়াই সংগ্রাম প্রতিহত করা এবং আগামী নির্বাচনে আমাদের বিজয়-এসব কিছুর একটা ছাপ আমরা পাব ইনশাল্লাহ।

মাঠ পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।#