বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এনডিসি বলেছেন, এসএমই খাতে যারা নতুন উদ্যোক্তা হবেন তাদের নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসতে হবে। একই জিনিস যদি আমরা অন্যের দেখাদেখি করি সেটা কিন্তু সুপার হিট নাও হতে পারে। অতএব ভালো চলতে হলে, ভালো করতে হলে মান ভালো করতে হবে। তাহলেই কিন্তু সেই প্রডাক্ট বাজারে চলবে।
আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে নগর ভবনের গ্রীন প্লাজায় বিভাগীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নতুন উদ্যোক্তাদের সফল হওয়ার পরামর্শ দিতে গিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা যেন ভাবতে পারি, বুঝতে পারি এবং নিজের সীমানা যেন অতিক্রম করতে পারি তাহলেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো।
এসএমই পণ্য মেলার মেয়াদ ১৫-২০ দিন করার এক প্রস্তাবের বিষয়ে জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হলে এই মেলার জৌলুস হারিয়ে যাবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মোঃ আশরাফুল, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোঃ মশিউর রহমান, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান রিংকু এবং উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোজেটি নাজনীন।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, যে কোন ক্ষুদ্র উদ্যোগ এক সময় বৃহৎ আকারে আত্মপ্রকাশ করে। এসএমই ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সকল জেলা ও উপজেলায় এই ধরনের মেলার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছে ও তাদের উৎপাদিত পণ্য সারা দেশের মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে। এটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
বক্তাগণ আরও বলেন, হয়তো ভৌগলিক কারণে রাজশাহীতে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের তেমন একটা সুযোগ নেই কিন্তু এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। নতুন প্রজন্ম যদি ডিজিটাল উদ্ভাবনী ধারণাকে কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে তাহলে এই ধরনের মেলা সার্থক হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চারজন উদ্যোক্তার হাতে বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণের চেক তুলে দেন।
উল্লেখ্য এবছর বিভাগীয় পর্যায়ে রাজশাহীতেই প্রথম এসএমই পণ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়।