all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান, এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। তাঁর ডাকে সকল ধর্মের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছে। আজকের বাংলাদেশের মাটি মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার রক্তে রঞ্জিত।
আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা এমনি-এমনি আসেনি, এর পেছনে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পাকিস্তানিদের দুর্বিষহ অত্যাচার-নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আমরা তখন পরিবার-পরিজন নিয়ে চিন্তা করিনি, নিজের জীবন নিয়ে ভাবিনি, আমাদের একটাই চিন্তা ছিল- দেশ স্বাধীন করতে হবে। সেই সময়টা আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। আমরা পায়ে হেঁটে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দূর-দুরান্তে খবর পৌঁছে দিয়েছি। এজন্য অনেক সময় অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আজকের প্রজন্ম বিশ্বাসই করতেপারেনা, তরুণ প্রজন্মকে এসব জানাতে হবে।
একটা সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির পাতা থেকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে- কীভাবে আমরা যুদ্ধ করেছি, কোথা থেকে সাহায্য পেয়েছি। তিনি বলেন, আমাদেরকে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে - আমরা যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা উড়তে দেখেছি এবং ইতিহাস বিকৃত হতে দেখেছি। মুক্তিযোদ্ধারা তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে না ধরলে তাদের অনেক কিছু অজানা থেকে যাবে।
তরুণ প্রজন্মকে একটি সুন্দর কলঙ্কমুক্ত দেশ উপহার দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, যতটুকু কলঙ্কিত ইতিহাস ছিল, সেটুকু ধুয়ে-মুছে নতুন প্রজন্মকে একটি সুন্দর দেশ উপহার দিতে চাই। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না, সবাই শিক্ষা পাবে, স্বাস্থ্যসেবা পাবে। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনকে গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন, শিক্ষার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তাই করছেন। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন- যার কারণে কোভিড টিকাদানে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম হয়েছে।
শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এখন আকাশ্চুম্বী মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশ আলোকিত থাকবে। তাঁর আমলে বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে; এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। এ সময় জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে তিনি বলেন, এবারের অনুষ্ঠানটি একটু ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এবার তাঁদের শুধু সংবর্ধনা নয়, পাশাপাশি স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য তিনি বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আব্দুল বাতেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অনীল কুমার সরকার বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ আবু হাসান মোহাম্মদ তারিক, আরএমপি’র কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, জেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ, প্রশাসন ও বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক সুস্থতার লক্ষ্যে মাসব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা কর্নার পরিদর্শন করেন।