Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
রাজশাহী মুক্ত দিবস পালিত
ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বরের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহীবাসীর জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন।

রাজশাহী মুক্ত দিবস পালিত

ফাইল ছবি।

রাজশাহী মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় এক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আবু সালেহ মোহাম্মদ ফাত্তাহর সভাপতিত্ব এবং রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার পরিচালনায় এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭ নম্বর সেক্টর থেকে প্রকাশিত বাংলার কথার কলম সৈনিক ও রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহসভাপতি সালাউদ্দীন মিন্টু, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান, বোয়ালিয়া থানা কমিটির আহবায়ক সাগর নোমানী, সদস্য মো. সাকিব প্রমুখ।
চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় থাকায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন সংগঠন দুটির সভাপতি সাইদুর রহমান। বক্তব্যের শুরুতেই সংগঠনের সিনিয়র সদস্য শরিফ উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি জানান, দেশে ফিরে শীঘ্রই নাগরিক শোক সভা করা হবে। ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বরের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহীবাসীর জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন। ওইদিন সকালে আমাদের বাসা থেকে পায়ে হেটে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে যান মুক্তিযুদ্ধকালীন সাত নম্বর সেক্টরের লালগোলা সাব সেক্টর ৪-এর কমান্ডার মেজর গিয়াস উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, বীর বিক্রম। সঙ্গে আমার বাবা আতাউর রহমান ছিলেন। ওই মঞ্চে আমিও ছিলাম। সাইদুর রহমান বলেন, মঞ্চে উঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর মেজর গিয়াস উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী আনুষ্ঠনিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে রাজশাহীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন। এ সময় আমি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়েছিলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, বিজয়ের ৫১ বছরে আজ দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা গেছে, মেজর গিয়াস যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজশাহীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন, সেখানে আজ ছাগল চরছে। অযান্তে-অবহেলায় সেই মঞ্চটি পড়ে রয়েছে। অথচ জেলা প্রশাসনের সেটি দেখভাল ও সংরক্ষণ করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এর তীব্র নিন্দা জানাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। দেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তরুণদের মাঝে জানান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে।
আলোচনা সভায় সাবেক নারী কাউন্সিলর মোছা. ফারজানা, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সদস্য মো. রাজন, হারুন, সাইদ সনু, আইয়ুব আলী তালুকদারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এদিন সভার শুরুতে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সিনিয়র সদস্য শরিফ উদ্দিনসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালী’র লোকমানের বিরুদ্ধে দুদেকে অভিযোগ 

১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বরের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহীবাসীর জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন।

রাজশাহী মুক্ত দিবস পালিত

আপডেট সময় ০৬:২৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

রাজশাহী মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় এক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আবু সালেহ মোহাম্মদ ফাত্তাহর সভাপতিত্ব এবং রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার পরিচালনায় এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭ নম্বর সেক্টর থেকে প্রকাশিত বাংলার কথার কলম সৈনিক ও রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহসভাপতি সালাউদ্দীন মিন্টু, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান, বোয়ালিয়া থানা কমিটির আহবায়ক সাগর নোমানী, সদস্য মো. সাকিব প্রমুখ।
চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় থাকায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন সংগঠন দুটির সভাপতি সাইদুর রহমান। বক্তব্যের শুরুতেই সংগঠনের সিনিয়র সদস্য শরিফ উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি জানান, দেশে ফিরে শীঘ্রই নাগরিক শোক সভা করা হবে। ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বরের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহীবাসীর জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন। ওইদিন সকালে আমাদের বাসা থেকে পায়ে হেটে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে যান মুক্তিযুদ্ধকালীন সাত নম্বর সেক্টরের লালগোলা সাব সেক্টর ৪-এর কমান্ডার মেজর গিয়াস উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, বীর বিক্রম। সঙ্গে আমার বাবা আতাউর রহমান ছিলেন। ওই মঞ্চে আমিও ছিলাম। সাইদুর রহমান বলেন, মঞ্চে উঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর মেজর গিয়াস উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী আনুষ্ঠনিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে রাজশাহীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন। এ সময় আমি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়েছিলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, বিজয়ের ৫১ বছরে আজ দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা গেছে, মেজর গিয়াস যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজশাহীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন, সেখানে আজ ছাগল চরছে। অযান্তে-অবহেলায় সেই মঞ্চটি পড়ে রয়েছে। অথচ জেলা প্রশাসনের সেটি দেখভাল ও সংরক্ষণ করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এর তীব্র নিন্দা জানাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। দেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তরুণদের মাঝে জানান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে।
আলোচনা সভায় সাবেক নারী কাউন্সিলর মোছা. ফারজানা, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সদস্য মো. রাজন, হারুন, সাইদ সনু, আইয়ুব আলী তালুকদারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এদিন সভার শুরুতে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সিনিয়র সদস্য শরিফ উদ্দিনসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।