শনিবার (২৬ নভেম্বর) মুম্বাইয়ে জঙ্গী সন্ত্রাসী হামলার ১৪তম বার্ষিকী স্মরণে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী মহানগর উদ্যোগে কামরুজ্জামান চত্বরে সকাল ১১.৩০ মিনিটে মানববন্ধন ও র্যালীর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশে’র ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির রাজশাহী মহানগর সভাপতি কামরুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি লেখক সাংবাদিক এয়াকুব বাদশা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাইন্ডেশন রাজশাহী বিভাগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা জেমস, বঙ্গবন্ধু কলেজ রাজশাহীর অধ্যাক্ষ ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক কামরুজ্জামান, সাবেক অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী কমান্ডার ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগের প্রধান উপদেষ্টা এনামুল হক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি,রাজশাহী সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব, তামিম সিরাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক কমান্ডার মনিরুল ইসলাম, বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক আহমেদ, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী মহানগর সদস্য সচিব সালাউদ্দিন, বোয়ালিয়া থানা নির্মূল কমিটি সাধারণ সম্পাদক রনি সরকার, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাইন্ডেশন রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদকসাইদুল ইসলাম প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন বিগত ১৪ বছর হলেও পাকিস্তান মুম্বাই বিস্ফোরণের কুশিলবদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বিচারের নামে চলেছে প্রহসন। বরং ২০০৮ সালের মুম্বাইয়ে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটানোর নেপথ্য নায়কেরা পুরস্কৃতও হয়েছে পাকিস্তানে। ভারতের পক্ষ থেকে প্রামাণ্য নথিপত্র দেওয়া হলেও পাকিস্তানি সরকার লোক দেখানো কিছু বিবৃতি দেয়া ছাড়া কোনও শাস্তি দেয়নি মুম্বাইয়ের সন্ত্রাসী হামলাকারীদের। বাংলাদেশ-সহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও এবিষয়ে সেনাবাহিনী পরিচালিত পাক-সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। মুম্বাই হামলা নিয়ে ইসলামাবাদের আচরণ প্রমাণ করছে মুম্বাইয়ের ২৬/১১ হামলা ছিলো পাকিস্তানের সরকারি মদদে ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকান্ড।
মুম্বাই হামলা যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদতেই হয়েছিল, সেটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও আজ স্পষ্ট। তাই হামলার মূল চক্রী, লস্কর-এ-তৈয়বা (এলইটি)-র প্রধান হাফিজ সঈদ ও তার সঙ্গীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে ব্যস্ত ইসলামাবাদ।’
বিশেষ অতিথি গোলাম মোস্তফা জেমস তার বক্তব্যে বলেন, ২৬ নভেম্বর বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার ইতিহাসে এক ভয়াবহতম দিন। ২০০৮ সালের এই দিনে ভারতের মুম্বাই শহরে পাঁচতারকা হোটেলসহ আরো ১২টি স্থানে একযোগে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা। কেড়ে নিয়েছিলো দেশি-বিদেশিসহ ১৬৬ জন নিরপরাধ মানুষের প্রাণ। সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান থেকে সমুদ্রপথে এসে মুম্বাই প্রবেশ করেছিল। ভারতের ইতিহাসে ভয়াবহতম এই হামলার ঘটনার আজ এক যুগ পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনো সেই ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার হয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম বলেন ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জঙ্গিদের এক নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা এক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। যেখানে ভারতীয়সহ ২২টি দেশের কয়েকশ নাগরিক হতাহত হয়েছিলেন। পাকিস্তান কীভাবে বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জঙ্গিবাদ রফতানিসহ ধর্মের নামে হত্যা, সন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ সাধন করে তা আমরা ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকাল থেকে প্রত্যক্ষ করছি।
সভাপতির প্রারম্ভিক ভাষণে কামরুজ্জামান বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে হামলার ব্যাপারে প্রামাণ্য নথিপত্র দেয়া হলেও পাকিস্তানি সরকার লোক দেখানো কিছু বিবৃতি দেয়া ছাড়া কোনও শাস্তি দেয়নি মুম্বাইয়ের সন্ত্রাসী হামলাকারীদের।
ছাত্র নেতা তামিম সিরাজী বলেন—বাংলাদেশসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও এবিষয়ে সেনাবাহিনী পরিচালিত পাক-সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। মুম্বাই হামলা নিয়ে ইসলামাবাদের আচরণ প্রমাণ করছে মুম্বাইয়ের ২৬/১১ হামলা ছিলো পাকিস্তানের সরকারি মদদে ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকান্ড।
তিনি বলেন,মুম্বাই হামলা যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদদেই হয়েছিল,সেটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও আজ স্পষ্ট। তাই হামলার মূলচক্রী, লস্কর-এ-তৈয়বা (এলইটি)-র প্রধান হাফিজ সঈদ ও তার সঙ্গীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে ব্যস্ত ইসলামাবাদ।