all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজমিস্ত্রির কাজ করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের পড়াশোনার খরচসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসনের পারিবারিক অসচ্ছলতার বিষয়টি রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রাসিক মেয়র মহোদয় তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু জানান, বুধবার রাতে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজমিস্ত্রির কাজে রাবি শিক্ষার্থী’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয় দেখতে পান। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার দুপুরে মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, তার পরিবার ও শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মেয়র মহোদয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের পড়াশোনার খরচ, থাকা-খাওয়াসহ তার সকল খরচ ব্যয় করবেন।
শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র স্যারের পক্ষ থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মেয়র স্যার আমার পড়াশোনাসহ সার্বিক দায়িত্ব নিবেন বলে জানিয়েছেন। রাজশাহীতে গিয়ে পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন দুচিন্তামুক্ত হলাম। মেয়র স্যার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, এতে আমি ও আমার পরিবার অনেক খুঁশি। আমরা মেয়র স্যারের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, পারিবারিক অসচ্ছলতায় চাপা পড়ে নিষ্পেষিত ইমরান মেধার প্রমান দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়েছে। ভর্তি হওয়ার পরে পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে সে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিল। পড়াশোনার খরচ জোগাতে রাজমিস্ত্রীর কাজও করছিল। মেধাবী ইমরানের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়র মহোদয়ের এই মহতি কাজের সাধুবাদ জানাই। আমরা শিক্ষকবৃন্দ ও এলাকাবাসী মেয়র মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
উল্লেখ্য, ইমরান হোসেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মাঝির ছেলে। আট সন্তানের মধ্যে পঞ্চম। ইমরান দারিদ্র ঠেকাতে পারেনি অদম্য মেধাবী ইমরান হোসেনের পথচলা। কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাস শুরু হবে। #