ঋতু বৈচিত্রে প্রকৃতিতে এখন বর্ষা পেরিয়ে শরৎ চলমান। স্নিগ্ধতার এ শরৎকালকে বলা হয় ঋতুর রানী। বাংলা পঞ্জিকা অনুয়ায়ী আলছে আশ্বিন মাস। সেই অনুয়ায়ী শরত শেষের দিকে। এরপর হেমন্তের দুই মাস পর শুরু হবে শীতকাল।
শীতের সুমিস্টি পানিও পানি খেজুররস আহরনের জন্য গাজিরাও ব্যাস্ত গাছ প্রস্তুতিতে। মাজায় রসি পেচিয়ে খেজুর গাছের সাথে নিজে শক্ত করে বেধে ধারাল হাঁসুয়া দিয়ে রসের জন্য গাছকে প্রস্তুত করতে ব্যাস্ত গাছিরা।
অন্যদিকে রাজশাহীতে সকাল-সন্ধ্যায় ধান, ঘাস ও লতাপাতার কচি ডগায় শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে শীত আসন্ন। ইতোমধ্যে মর্ত্যলোক থেকে বিদায় নিয়েছে দেবীদূর্গা ও লক্ষি। এখন সূর্য পূর্বদিকে লাল আভা দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর হালকা হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আবার ভোরবেলা পড়তে শুরু করেছে হালকা কুয়াশা ও ঠান্ডাভাব।
সবমিলিয়ে শীতের আগমনি বার্তার আভাস জানান দিচ্ছ প্রকৃতি।
তবে এখনও দিনের বেলায় সূর্য বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আবার মাঝে মধ্যে দেখা মিলছে হালকা বৃষ্টির। এই বৃষ্টি যেন প্রকৃতিতে ডেকে আনছে শীত।
প্রবীণরা বলছেন, ষড়ঋতুর এই দেশে পৌষ ও মাঘ শীতকাল হলেও কোন কোন বছর শরৎ-হেমন্তেই শীত শুরু হয়। একটি কথার প্রচলন আছে আশ্বিন গা করে শিনশিন। এখন মধ্যরাত থেকে একটু একটু শীত অনুভুত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়ার উঠানামা তারতম্য কারনে,ঠান্ডা-গরম অনভিভূত হচ্ছে। এই কারণে জ্বর, সর্দি,ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময়টা সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি যত্ন নেয়ারও পরামর্শ দেন।