ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে রাজশাহীতেও অভিযান শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের চারটি টিম ও রাজশাহী সিভিল সার্জনের একটি টিম এ অভিযান চালায়। অভিযানে নগরীতে ১২টি এবং ৯টি উপজেলায় আটটি অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীতে কতগুলো অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, তার নির্দিষ্ট কোনো তালিকা নেই। যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, তাদের মধ্যে যারা নিবন্ধনের শর্তের ব্যত্যয় ঘটান কিংবা নতুন করে নবায়ন করেননি; শুধু তাদের তালিকা আছে। সে অনুযায়ী অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১৬৪টি। এর মধ্যে রাজশাহীতে অভিযানে ২০টি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে অভিযান চলাকালে নগরীতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান তালা দিয়ে মালিকরা পালিয়ে যান বলে জানা গেছে। এমন বিড়ম্বনার কথা এর আগেও তুলে ধরেছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে এবার যেসব প্রতিষ্ঠান তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে তাদের অবৈধ হিসেবে গণ্য করে খুললেই আইনগত কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক।তিনি জানান, রাজশাহীতে প্রকৃতপক্ষে অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা কত, তার সুনির্দিষ্ট তালিকা নেই। তবে এ সংখ্যাটা ১৬৪টির কিছু কমবেশি হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।সিভিল সার্জন আরও বলেন, অভিযান চলাকালে অনেকে আগেই টের পেয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর হচ্ছি। এদের অবৈধ ধরে নিয়ে যখনই খুলবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।