Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
রাজশাহীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ফাইল ছবি।

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২২ বাস্তবায়ন ও হালনাগাদকরণ বিষয়ক রাজশাহী বিভাগীয় কর্মশালা আজ নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত এ কর্মশালায় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে এফএসটিআইপি অ্যাকটিভিটি, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও ইনসিডিন বাংলাদেশ।
বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ কে এম মুখলেছুর রহমান, অতিরিক্তি সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল আবু হাসান মোহাম্মদ তারিক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আব্দুল বাতেন এবং বেসরকারি সংস্থা উইনরক এর প্রতিনিধি লিজ বেলথ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কে এম মুখলেছুর রহমান বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে আমরা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের পর্যবেক্ষণে রয়েছি। আমরা যদি এ ক্ষেত্রে অর্জন দেখাতে না পারি, তাহলে আমাদের দেশের যে সমস্ত শ্রমিক বিদেশে যাচ্ছে তারা বঞ্চিত হতে পারে।
মানব পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানব পাচার বিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় টায়ারে অবস্থান করছে । আগে দ্বিতীয় টায়ারের ওয়াচ লিস্ট এ ছিল যেটা অনেক খারাপ অবস্থান এবং তৃতীয় টায়ার হচ্ছে সর্বনিম্ন অবস্থা ।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মাইগ্রেশনের প্রধান স্টেকহোল্ডার। তাদের মধ্যে কিছু কিছু দুষ্টু প্রকৃতির রয়েছে। তারা এক কাজের কথা বলে নিয়ে অন্য কাজ করায়। এটা হচ্ছে আধুনিক দাস প্রথা। এটা প্রতিরোধে আমাদের কমিউনিটিতে যারা কাজ করে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে । জনপ্রতিনিধিরা জানে কারা মানব পাচারের সাথে যুক্ত।
সরকার ভিকটিমদের ডাটাবেজ আপডেট করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতগুলো কেস রিপোর্ট হচ্ছে তার সবগুলোই কিন্তু মানব পাচার নয়। বৈধ পথে অনেকে বিদেশ যাচ্ছে কিন্তু সে যেখানে গেছে সেখানে তার কাজের কোনো যোগ্যতাই নেই। সে ফিরে এসে অভিযোগ করছে, আমাকে যে কাজের জন্য নেয়া হয়েছিল সেই কাজ দেওয়া হয়নি।
মানব পাচার প্রতিরোধে তিনি সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান
কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগীয় এবং বিভিন্ন জেলার জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য যে, ৫ বছর মেয়াদী মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকার এর মেয়াদ আরও ৩ বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত করেছে। এ কর্মশালার উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখিত কার্যক্রমের সাথে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও হালনাগাদকরণ।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালী’র লোকমানের বিরুদ্ধে দুদেকে অভিযোগ 

রাজশাহীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৭:৩১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২২ বাস্তবায়ন ও হালনাগাদকরণ বিষয়ক রাজশাহী বিভাগীয় কর্মশালা আজ নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত এ কর্মশালায় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে এফএসটিআইপি অ্যাকটিভিটি, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও ইনসিডিন বাংলাদেশ।
বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ কে এম মুখলেছুর রহমান, অতিরিক্তি সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল আবু হাসান মোহাম্মদ তারিক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আব্দুল বাতেন এবং বেসরকারি সংস্থা উইনরক এর প্রতিনিধি লিজ বেলথ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কে এম মুখলেছুর রহমান বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে আমরা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের পর্যবেক্ষণে রয়েছি। আমরা যদি এ ক্ষেত্রে অর্জন দেখাতে না পারি, তাহলে আমাদের দেশের যে সমস্ত শ্রমিক বিদেশে যাচ্ছে তারা বঞ্চিত হতে পারে।
মানব পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানব পাচার বিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় টায়ারে অবস্থান করছে । আগে দ্বিতীয় টায়ারের ওয়াচ লিস্ট এ ছিল যেটা অনেক খারাপ অবস্থান এবং তৃতীয় টায়ার হচ্ছে সর্বনিম্ন অবস্থা ।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মাইগ্রেশনের প্রধান স্টেকহোল্ডার। তাদের মধ্যে কিছু কিছু দুষ্টু প্রকৃতির রয়েছে। তারা এক কাজের কথা বলে নিয়ে অন্য কাজ করায়। এটা হচ্ছে আধুনিক দাস প্রথা। এটা প্রতিরোধে আমাদের কমিউনিটিতে যারা কাজ করে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে । জনপ্রতিনিধিরা জানে কারা মানব পাচারের সাথে যুক্ত।
সরকার ভিকটিমদের ডাটাবেজ আপডেট করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতগুলো কেস রিপোর্ট হচ্ছে তার সবগুলোই কিন্তু মানব পাচার নয়। বৈধ পথে অনেকে বিদেশ যাচ্ছে কিন্তু সে যেখানে গেছে সেখানে তার কাজের কোনো যোগ্যতাই নেই। সে ফিরে এসে অভিযোগ করছে, আমাকে যে কাজের জন্য নেয়া হয়েছিল সেই কাজ দেওয়া হয়নি।
মানব পাচার প্রতিরোধে তিনি সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান
কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগীয় এবং বিভিন্ন জেলার জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য যে, ৫ বছর মেয়াদী মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকার এর মেয়াদ আরও ৩ বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত করেছে। এ কর্মশালার উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখিত কার্যক্রমের সাথে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও হালনাগাদকরণ।