Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন জাতের আমের সন্ধান
ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন জাতের আমের সন্ধান

ফাইল ছবি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন জাতের একটি আমের সন্ধান পেয়েছেন উদ্যানতত্ত্ববিদরা। বরেন্দ্র অঞ্চলের জৈটাবটতলা এলাকার দিঘা গ্রামে হাসমত আলীর বাগানে আমটির খোঁজ পাওয়া গেছে। আমটিকে গত ৪ বছর ধরে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদরা।
নাবি জাতের এ আমটি পর্যবেক্ষণ করছেন হার্টিকালচার সেন্টারের সহকারী উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহিন সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গাছটি প্রায় ক্ষিরসাপাত আম গাছের মতো দেখতে। মাঘ-ফাল্গুন মাসের মধ্যে মুকুল আসে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণত এ আম ৫-৬ মাস পর পাকে। আমের খোসা মাঝারি মসৃণ। আমটি পাকলে বোটার দিকে লালচে বর্ণের হয়। আঁটি পাতলা, আর আমে কোনো আঁশ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমটি সর্বোচ্চ ওজন এক কেজিরও বেশি হয়, আর সর্বনিম্ন প্রায় ৪০০ গ্রাম। এ আমের মিষ্টতার পরিমাণ প্রায় ২৪ শতাংশ। ৩-৪ বছর পর গাছে ফলন হবে। ছোটগাছে প্রায় ২০ কেজি আম উৎপাদন হয়। গাছের বয়সের সাথে আমের ফলনও বাড়ে।’
বছর তিনেক ধরে এ বাগানটি দেখভালের কাজ করেন মালি শাহিন আলী। তিনি বলেন, ‘সাধারণত অনান্য আমের মুকলের সময় এ গাছেরও মুকুল দেখা দেয়। মুকুল আসার ৫ থেকে ৬ মাস পর আম পাকতে দেখা যায়।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগান চাষি মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমটি নতুন জাতের, স্বাদও ক্ষিরসাপাতের মতো। এ আম যেহেতু দেরিতে (বিলম্ব) পাকে তাই লেট ক্ষিরসাপাত নামে আঞ্চলিকভাবে ডাকা হয়। আমটির আকার আকৃতি অনান্য আমের চেয়ে বড়, গোলাকার। এ আমে রোগ বালাই খুব কম।’
৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আমের বাগান গড়েছেন হাসমত আলী (বাবু)। বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে আমার ভাই মাইনুল ইসলামের এক বন্ধু ভারতে এ আম খেয়ে ‍মুগ্ধ হন। ওই গাছের সায়ন (চারা তৈরীর উপযোগী ডগা) সংগ্রহ করে দেশে আনেন। ওই সায়ন দিয়ে একটি কলম বাঁধি। এ আমের চাষাবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছি। বাগানে এখন প্রায় ৩০টি গাছ আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন জাতের আমটি এখনও বাজারে ‍গিয়ে বিক্রি করতে হয়নি। বাগানের আম বাগানে বেচে শেষ হয়ে যায়। এ বছরে এ আম পাঁচশ টাকা কেজি করে প্রায় ১০ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছি। এ নতুন জাতের আম গাছের চারা নেওয়ার জন্য অর্ডার দিলে, চারা বিক্রি করা হয়। প্রতিটি চারার মূল্য ১ হাজার টাকা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচারের উপপরিচালক কুমার প্রামাণিক বলেন, “আমটির স্বাদগুণ ক্ষিরসাপাত আমের সঙ্গে তুলনা করা যায়। বলা চলে, অসময়ের ক্ষিরসাপাত আম। জেলা প্রশাসক কাছে আমটির নাম ‘কল্যাণ ভোগ’ রাখার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন; আহবায়ক দুলু সদস্য সচিব শাহীন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন জাতের আমের সন্ধান

আপডেট সময় ০৪:৩৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন জাতের একটি আমের সন্ধান পেয়েছেন উদ্যানতত্ত্ববিদরা। বরেন্দ্র অঞ্চলের জৈটাবটতলা এলাকার দিঘা গ্রামে হাসমত আলীর বাগানে আমটির খোঁজ পাওয়া গেছে। আমটিকে গত ৪ বছর ধরে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদরা।
নাবি জাতের এ আমটি পর্যবেক্ষণ করছেন হার্টিকালচার সেন্টারের সহকারী উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহিন সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গাছটি প্রায় ক্ষিরসাপাত আম গাছের মতো দেখতে। মাঘ-ফাল্গুন মাসের মধ্যে মুকুল আসে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণত এ আম ৫-৬ মাস পর পাকে। আমের খোসা মাঝারি মসৃণ। আমটি পাকলে বোটার দিকে লালচে বর্ণের হয়। আঁটি পাতলা, আর আমে কোনো আঁশ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমটি সর্বোচ্চ ওজন এক কেজিরও বেশি হয়, আর সর্বনিম্ন প্রায় ৪০০ গ্রাম। এ আমের মিষ্টতার পরিমাণ প্রায় ২৪ শতাংশ। ৩-৪ বছর পর গাছে ফলন হবে। ছোটগাছে প্রায় ২০ কেজি আম উৎপাদন হয়। গাছের বয়সের সাথে আমের ফলনও বাড়ে।’
বছর তিনেক ধরে এ বাগানটি দেখভালের কাজ করেন মালি শাহিন আলী। তিনি বলেন, ‘সাধারণত অনান্য আমের মুকলের সময় এ গাছেরও মুকুল দেখা দেয়। মুকুল আসার ৫ থেকে ৬ মাস পর আম পাকতে দেখা যায়।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগান চাষি মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমটি নতুন জাতের, স্বাদও ক্ষিরসাপাতের মতো। এ আম যেহেতু দেরিতে (বিলম্ব) পাকে তাই লেট ক্ষিরসাপাত নামে আঞ্চলিকভাবে ডাকা হয়। আমটির আকার আকৃতি অনান্য আমের চেয়ে বড়, গোলাকার। এ আমে রোগ বালাই খুব কম।’
৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আমের বাগান গড়েছেন হাসমত আলী (বাবু)। বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে আমার ভাই মাইনুল ইসলামের এক বন্ধু ভারতে এ আম খেয়ে ‍মুগ্ধ হন। ওই গাছের সায়ন (চারা তৈরীর উপযোগী ডগা) সংগ্রহ করে দেশে আনেন। ওই সায়ন দিয়ে একটি কলম বাঁধি। এ আমের চাষাবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছি। বাগানে এখন প্রায় ৩০টি গাছ আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন জাতের আমটি এখনও বাজারে ‍গিয়ে বিক্রি করতে হয়নি। বাগানের আম বাগানে বেচে শেষ হয়ে যায়। এ বছরে এ আম পাঁচশ টাকা কেজি করে প্রায় ১০ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছি। এ নতুন জাতের আম গাছের চারা নেওয়ার জন্য অর্ডার দিলে, চারা বিক্রি করা হয়। প্রতিটি চারার মূল্য ১ হাজার টাকা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচারের উপপরিচালক কুমার প্রামাণিক বলেন, “আমটির স্বাদগুণ ক্ষিরসাপাত আমের সঙ্গে তুলনা করা যায়। বলা চলে, অসময়ের ক্ষিরসাপাত আম। জেলা প্রশাসক কাছে আমটির নাম ‘কল্যাণ ভোগ’ রাখার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি।