all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114রাজশাহী নগরীতে ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেল আটকে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আগুন দিয়েছেন মোঃ আশিক আলী (৩০) নামের এক যুবক। সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা পৌনে ২টার দিকে নগরীর কোর্ট সংলগ্ন হড়গ্রাম এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
মোটরসাইকেল আরোহী আশিক আলী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঁঠালবাড়িয়া হাটুভাঙ্গার মোড় এলাকার মোঃ আসাদ আলীর ছেলে। পাগলামি থেকেই মোটরসাইকেলে তিনি আগুন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। কোর্ট হড়গ্রাম বাজারে রুটিন দায়িত্বে ছিলেন রাজশাহী নগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট আব্দুল কাইয়ুম। বেলা পৌনে ২টার দিকে আরও দুই আরোহীসহ আশিক আলী ওই এলাকা অতিক্রম করছিলেন। চেকপোস্টে পুলিশ সার্জেন্ট তাদের আটকে দেন।
কাগজপত্র দেখতে চাইলে আপত্তি জানান মোটরসাইকেল আরোহী। চাবি নিতে চাইলে বাধাও দেন তিনি । এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দেন আশিক আলী।
ওই সময় কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় টহল দায়িত্বে ছিলেন নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মৌসুমী আক্তার। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। মৌসুমী আক্তার জানান, একে তো মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী ছিলেন। তার ওপর তাদের কারোরই হেলমেট ছিল না। সঙ্গে মোটরসাইকেলটির কাগজপত্রও ছিল না।
চেকপোস্টে মোটরসাইকেলটি আটকে মামলা দিতে চেয়েছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। এক পর্যায়ে তাকে কাগজপত্র এনে দেখানোর শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ না নিয়ে নিজেই মোটরসাইকেলে আগুন দেন।
ঘটনাস্থলটি নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের আওতাধীন। আগুনে পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় রাজপাড়া থানা পুলিশ। এই ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আশিক আলীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নগর ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা জানান, ঘটনার পর তারা মোটরসাইকেল আরোহী আশিক আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন।
এটি নিছক পাগলামী ছাড়া আর কিছু না। মোটরসাইকেলটি তার নিজের সম্পদ হলেও তিনি পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আগুন দিতে পারেন না। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি ব্যবসায় মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির শিকার হন আশিক আলী। এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে জানা যায় । এরই মাঝে ট্রাফিক পুলিশ কাগজপত্র না থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা দিতে চেয়েছিলেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি এই কাণ্ডটি ঘটান। এ নিয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান এই নগর পুলিশ কর্মকর্তা।