Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
বড়াল নদী রক্ষার দাবিতে রাজশাহীর আড়ানীতে মানববন্ধন
ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বড়াল নদীকে রক্ষা করতে পারলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন সহ লাখ লাখ মানুষ বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাবে। ছোট বেলায় বহমান বড়াল আর নেই,

বড়াল নদী রক্ষার দাবিতে রাজশাহীর আড়ানীতে মানববন্ধন

ফাইল ছবি।

বড়ার নদীর উৎপত্তি স্থল রাজশাহীর আড়ানীতে বড়াল নদী রক্ষার দাবিতে বাঁধ-স্লুইস গেট ভেঙে সেতু করো, বড়াল নদী চালু করো-এ স্লোগানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ জুলাই) সকাল ১১টায় আড়ানীতে বড়াল নদীর ব্রিজের উপর এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়াল নদীর সব বাঁধ, স্লুইস গেট, অবৈধ দখল মুক্ত এবং পূনঃখননের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন বড়াল নদী রক্ষা আন্তর্জাতিক কমিটি। রোববার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বড়াল নদী রক্ষা আন্তর্জাতিক কমিটির আহবায়ক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আজিবর রহমান পাতার নেতৃত্বে ও স্থানীয় ফজলে রাব্বির সার্বিক তত্বাবধায়নে আড়ানী বড়াল নদীর ব্রিজের উপর ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বড়াল নদীর বিভিন্ন স্থানে স্লইসগেট ও বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে স্লুইস গেট ও বাঁধ নির্মানের ফলে ক্রমান্বয়ে বড়াল নদী শুকিয়ে শীর্ণ খালে পরিনত হয়েছে। এখন বড়ালে তলদেশে বিভিন্ন আবাদ করা হচ্ছে। বর্ষায় নদীতে কিছু পানি জমলেও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই শুকিয়ে মরা নদীতে পরিনত হয়।
বক্তারা আরো বলেন,বড়াল নদীকে রক্ষা করতে পারলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন সহ লাখ লাখ মানুষ বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাবে। ছোট বেলায় বহমান বড়াল আর নেই, মৃত প্রায় বড়ালকে বাচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর চারঘাট থেকে পদ্মার শাখা নদী হিসেবে বড়াল নদীর উৎপত্তি হয়ে রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, নাটোরের বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বাঘাবাড়ী হয়ে হুড়া সাগরের বুকে মিশে নাকালিয়ায় যমুনায় পড়েছে। সেই সময় যোগাযোগের সুবিধার কারনে বড়াল নদীর দুই পাড়ে আড়ানী বাজার, রুস্তমপুর পশুহাট, পাঁকা বাজার, জামনগর বাজার, বাশবাড়িয়া বাজার, তমালতলা বাজার, বাগাতিপাড়া থানা, দয়ারামপুর সেনানিবাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮১-৮২ অর্থ বছরে নদীর তীরবর্তী উপজেলাগুলোকে বন্যামুক্ত করার জন্য উৎসমুখ চারঘাটে বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কৃষক, জেলেসহ লাখ লাখ মানুষ বেকারত্ব হয়ে পড়েছে। এই বেকারত্বেও হাত থেকে মুক্ত করতে হলে বড়াল পূনঃখনন করতে হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

রামু সেনানিবাসে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪ পালিত

বড়াল নদীকে রক্ষা করতে পারলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন সহ লাখ লাখ মানুষ বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাবে। ছোট বেলায় বহমান বড়াল আর নেই,

বড়াল নদী রক্ষার দাবিতে রাজশাহীর আড়ানীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২
বড়ার নদীর উৎপত্তি স্থল রাজশাহীর আড়ানীতে বড়াল নদী রক্ষার দাবিতে বাঁধ-স্লুইস গেট ভেঙে সেতু করো, বড়াল নদী চালু করো-এ স্লোগানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ জুলাই) সকাল ১১টায় আড়ানীতে বড়াল নদীর ব্রিজের উপর এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়াল নদীর সব বাঁধ, স্লুইস গেট, অবৈধ দখল মুক্ত এবং পূনঃখননের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন বড়াল নদী রক্ষা আন্তর্জাতিক কমিটি। রোববার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বড়াল নদী রক্ষা আন্তর্জাতিক কমিটির আহবায়ক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আজিবর রহমান পাতার নেতৃত্বে ও স্থানীয় ফজলে রাব্বির সার্বিক তত্বাবধায়নে আড়ানী বড়াল নদীর ব্রিজের উপর ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বড়াল নদীর বিভিন্ন স্থানে স্লইসগেট ও বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে স্লুইস গেট ও বাঁধ নির্মানের ফলে ক্রমান্বয়ে বড়াল নদী শুকিয়ে শীর্ণ খালে পরিনত হয়েছে। এখন বড়ালে তলদেশে বিভিন্ন আবাদ করা হচ্ছে। বর্ষায় নদীতে কিছু পানি জমলেও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই শুকিয়ে মরা নদীতে পরিনত হয়।
বক্তারা আরো বলেন,বড়াল নদীকে রক্ষা করতে পারলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন সহ লাখ লাখ মানুষ বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাবে। ছোট বেলায় বহমান বড়াল আর নেই, মৃত প্রায় বড়ালকে বাচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর চারঘাট থেকে পদ্মার শাখা নদী হিসেবে বড়াল নদীর উৎপত্তি হয়ে রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, নাটোরের বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বাঘাবাড়ী হয়ে হুড়া সাগরের বুকে মিশে নাকালিয়ায় যমুনায় পড়েছে। সেই সময় যোগাযোগের সুবিধার কারনে বড়াল নদীর দুই পাড়ে আড়ানী বাজার, রুস্তমপুর পশুহাট, পাঁকা বাজার, জামনগর বাজার, বাশবাড়িয়া বাজার, তমালতলা বাজার, বাগাতিপাড়া থানা, দয়ারামপুর সেনানিবাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮১-৮২ অর্থ বছরে নদীর তীরবর্তী উপজেলাগুলোকে বন্যামুক্ত করার জন্য উৎসমুখ চারঘাটে বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কৃষক, জেলেসহ লাখ লাখ মানুষ বেকারত্ব হয়ে পড়েছে। এই বেকারত্বেও হাত থেকে মুক্ত করতে হলে বড়াল পূনঃখনন করতে হবে।