Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
রাবিতে শিক্ষার্থীদের জন্য বীমা সুবিধা চালু
ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবিতে শিক্ষার্থীদের জন্য বীমা সুবিধা চালু

ফাইল ছবি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য বীমা সুবিধা চালু হতে যাচ্ছে। ১ জুলাই ২০২২ তারিখ থেকে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এই গ্রুপ স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা সুবিধা প্রদান করবে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। অনুষ্ঠান অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর (অব.) মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম, প্রক্টর প্রফেসর মো. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বীমা সুবিধার জন্য নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক প্রিমিয়াম ২৫০ টাকা ভর্তি ফি’র সাথে প্রদান করতে হবে। বীমাকৃত শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি মৃত্যুজনিত দাবি ২ লক্ষ টাকা দেয়া হবে। হাসপাতালে ভর্তিকালীন চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৮০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। একজন শিক্ষার্থী এই সুবিধা ৩ মাস পর পর বছরে ৪ বার পাবে। বহির্বিভাগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে বছরে ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে। প্রতি মাসে বা বছরে একাধিকবারে কনসালটেন্সি, মেডিকেল ও প্যাথলজি ফি ইত্যাদি বাবদেও এই অর্থ পাওয়া যাবে। বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। বীমার আওতাধীন কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে অথবা ছাত্রত্ব শেষ হলে এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে।
এই বীমা সুবিধার আওতায় চিকিৎসা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক সেবা যেমন, শল্য চিকিৎসা পরবর্তী সেবা, ইনটেনসিভ কেয়ার সুবিধা, রক্ত সঞ্চালন, ফিজিওথেরাপি, রেডিওথেরাপি, প্রসিডিউরল চার্জ, অক্সিজেন শ্বসন, ভেনটিলেটর চার্জ, ডায়ালাইসিস, ড্রেসিং, নেবুলাইজেশান ইত্যাদি সেবা পাওয়া যাবে।
সকল নিয়মিত শিক্ষার্থীকে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং রকেট একাউন্ট বা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। অনলাইন পদ্ধতিতে বীমা দাবির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
সভায় উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসনে ২ বছর মেয়াদী এই বীমা প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে অর্থের অভাবে সে খারাপ কোনো পরিণতির শিকার না হয়। কেননা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক দরিদ্র পরিবার থেকেও পড়াশোনার জন্য আসে শিক্ষার্থীরা। তাই আমরা চাই না আমাদের কোনো শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাক। তবে এটাও চাই না আমার কোনো শিক্ষার্থীর এমন কোনো অবস্থা হোক, আমি চাই আমার সকল শিক্ষার্থী সুস্থ থাকুক, সুন্দরভাবে পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করুক।
উপাচার্য আরো বলেন, এ প্রকল্পের সকল কার্যক্রম হবে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। ফলে শতভাগ নিরাপদ ও জবাবদিহিতার জায়গা এতে রয়েছে। এখানে কোনো ধরনের দূর্ণীতির সুযোগ নেই। তাই সকল শিক্ষার্থীকে এ বীমার অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহায়তা করার আহবান জানান উপাচার্য।
জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালী’র লোকমানের বিরুদ্ধে দুদেকে অভিযোগ 

রাবিতে শিক্ষার্থীদের জন্য বীমা সুবিধা চালু

আপডেট সময় ০৫:৪৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য বীমা সুবিধা চালু হতে যাচ্ছে। ১ জুলাই ২০২২ তারিখ থেকে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এই গ্রুপ স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা সুবিধা প্রদান করবে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। অনুষ্ঠান অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর (অব.) মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম, প্রক্টর প্রফেসর মো. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বীমা সুবিধার জন্য নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক প্রিমিয়াম ২৫০ টাকা ভর্তি ফি’র সাথে প্রদান করতে হবে। বীমাকৃত শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি মৃত্যুজনিত দাবি ২ লক্ষ টাকা দেয়া হবে। হাসপাতালে ভর্তিকালীন চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৮০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। একজন শিক্ষার্থী এই সুবিধা ৩ মাস পর পর বছরে ৪ বার পাবে। বহির্বিভাগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে বছরে ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে। প্রতি মাসে বা বছরে একাধিকবারে কনসালটেন্সি, মেডিকেল ও প্যাথলজি ফি ইত্যাদি বাবদেও এই অর্থ পাওয়া যাবে। বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। বীমার আওতাধীন কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে অথবা ছাত্রত্ব শেষ হলে এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে।
এই বীমা সুবিধার আওতায় চিকিৎসা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক সেবা যেমন, শল্য চিকিৎসা পরবর্তী সেবা, ইনটেনসিভ কেয়ার সুবিধা, রক্ত সঞ্চালন, ফিজিওথেরাপি, রেডিওথেরাপি, প্রসিডিউরল চার্জ, অক্সিজেন শ্বসন, ভেনটিলেটর চার্জ, ডায়ালাইসিস, ড্রেসিং, নেবুলাইজেশান ইত্যাদি সেবা পাওয়া যাবে।
সকল নিয়মিত শিক্ষার্থীকে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং রকেট একাউন্ট বা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। অনলাইন পদ্ধতিতে বীমা দাবির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
সভায় উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসনে ২ বছর মেয়াদী এই বীমা প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে অর্থের অভাবে সে খারাপ কোনো পরিণতির শিকার না হয়। কেননা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক দরিদ্র পরিবার থেকেও পড়াশোনার জন্য আসে শিক্ষার্থীরা। তাই আমরা চাই না আমাদের কোনো শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাক। তবে এটাও চাই না আমার কোনো শিক্ষার্থীর এমন কোনো অবস্থা হোক, আমি চাই আমার সকল শিক্ষার্থী সুস্থ থাকুক, সুন্দরভাবে পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করুক।
উপাচার্য আরো বলেন, এ প্রকল্পের সকল কার্যক্রম হবে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। ফলে শতভাগ নিরাপদ ও জবাবদিহিতার জায়গা এতে রয়েছে। এখানে কোনো ধরনের দূর্ণীতির সুযোগ নেই। তাই সকল শিক্ষার্থীকে এ বীমার অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহায়তা করার আহবান জানান উপাচার্য।