সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম।
এ সপ্তাহে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। কেজিতে ৬০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, গত সপ্তাহের থেকে ১৫ টাকা বেড়ে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, এ সপ্তাহে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৩ টাকা বৃদ্ধি। এ ছাড়াও করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, ঢেড়স ৪০ টাকা, কাচামরিচ ৮০ টাকা কেজি ও লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা হালিতে।
সবজি বিক্রেতা হালিম জানান, এ সপ্তাহে আমদানি কম থাকার কারণে সবজির দামটা কিছুটা বেশি তবে আমরা আশা করছি সামনে সপ্তাহে সবকিছু সাভাবিক হয়ে যাবে।
সবজি কিনতে আসা মিজান জানান, সবজির দাম এতোটা বেশি হলে আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ কেমন করে চলবো। কিছু কিছু সবজির দাম ২০-৫০ টাকা বেশি। এমনভাবে চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।
এ সপ্তাহে সবজি ছাড়াও মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এ সপ্তাহে ছোট ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে, বড় ইলিশ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজিতে যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৩০০ টাকা বেশি। নদীর প্রতিটা মাছের দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০-১০০ টাকা ।
এ সপ্তাহে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বাসপাতা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা, ৪০ টাকা বেড়ে পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজিতে যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫০ টাকা বেশি, গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও প্রতিটি কার্প জাতীয় মাছ কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে এ সপ্তাহে।
মাছ বিক্রেতা নজরুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতির কারনে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না এবং আমদানি কম থাকার কারণে এ সপ্তাহে মাছের দামটা বেশি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে এই দামটা স্থিতিশীল হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করছি।
মাছ কিনতে আসা আশরাফ মিয়া জানান, আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালি প্রায় প্রতিটা দিন আমাদের মাছ কিনতে হয়। তবে এভাবে মাছের দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারকে মাছ খাওয়া ভুলে যাওয়া লাগবে।
এ সপ্তাহে স্থিতিশীল রায়েছে মুরগীর দাম। সোনালি মুরগীর দাম অপরিবর্তিত থেকে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজিতে, ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।তবে মুদিপণ্য ও ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে