রাজশাহীতে বাড়িতে ডেকে প্রেমিককে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যেই প্রেমিকাসহ অপর এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) কাশিয়াডাঙ্গা থানার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানাগেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেধ, রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছার একরামুল ইসলাম ভাদুর মেয়ে মেরিনা খাতুন (২১) এবং ঈশা হকের মেয়ে নেশা খাতুন (২২)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার পয়লান গ্রামের জহির মন্ডলের ছেলে রশিদুল মন্ডল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। সে মাঝেমধ্যে ধান কাটাসহ অন্যান্য কাজ করেন। শহরে বিভিন্ন কাজের সুবাদে প্রায় এক বছর আগে আটক মেরিনা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
অপরদিকে মেরিনা খাতুন সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাতের রশীদুল মন্ডল সায়েরগাছার সেই বাড়ীতে মেরিনার সাথে দেখা করতে যায়। সেখানে মেরিনা কথা-বার্তার একপর্যায়ে রশিদুলকে বিয়ে করার জন্য বলে। রশিদুল পরিবারের সাথে কথা বলে পরে বিষয়টি জানাবে বলে।কিন্তু মেরিনা রাতেই বিবাহ করার জন্য চাপ দেয় ও জোর জবরদোস্তি করতে থাকে। রাত ১১ টার দিকে রশিদুল মন্ডল সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে মেরিনা তাকে বাঁধা দেয় এবং উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মেরিনা খাতুন ধাক্কামেরে রশিদুলকে ফেলে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠার আগেই সকাল ৭ টার দিকে মেরিনা অপর আসামি নেশা খাতুনকে সাথেনিয়ে মৃতদেহ বাড়ির ছাদের স্টোর-রুমে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখে।
পুলিশ জানায়, কাশিয়াডাঙ্গা থানার একটি টিম বুধবার (১৫ জুন) সকাল পৌনে ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়ি থেকে আসামি মেরিনাকে আটক করে। আটককৃত আসামির দেওয়া তথ্যমতে বাড়ির ছাদের স্টোর-রুম হতে রশিদুলের মৃত দেহ উদ্ধার হয় এবং অপর আসামি নেশা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।