রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের ১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। এসময় সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আয় ও ব্যয় সমাপরিমান রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি ৯৬ হাজার ৩২৩ টাকা ১০ পয়সা।
প্রস্তাবিত বাজেটকে সম্পূর্ণ উন্নয়নমুখী উল্লেখ করে এর বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের এনেক্স ভবনে ২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর আগের অর্থবছরে (২০২২-২২) বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৮০ কোটি ২২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৬ টাকা ১৭ পয়সা। পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটের আকার দাড়ায় ৭৬৯ কোটি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪৪ টাকা ৩৬ পয়সা।
বাজেটের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেট সম্পূর্ণ উন্নয়নমুখী আগামী ২২-২৩ অর্থবছরের প্রায় ৮০০ কোটি টাকার উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন হবে।
এই বাজেটে নতুন কোন বর্ধিত কর আরোপ করা হয়নি বকেয়া পৌর কর আদায় নবনির্মিত সকল স্থাপনার উপর প্রচলিত নিয়মে কর ধার্য এবং নিজস্ব আয়ের উৎস সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে নতুন নতুন বাণিজ্যিক জোনে মার্কেট নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
শহরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
শহরের সড়ক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বাজেটে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের উপরে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
নাগরিক সেবা সম্প্রসারণ ও সেবার মান উন্নত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ইমারত বা বহুতল ভবন নির্মাণ কর আরোপের মাধ্যমে মহানগরীতে ভবন নির্মাণের পূর্বে সিটি কর্পোরেশনের কাছে অনুমতি নেয়ার বিধান কার্যকর করা হবে। ফলে একদিকে সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আয় হবে, অন্যদিকে মহানগরীতে ইমারত বা বহুতল ভবন নির্মাণে শৃঙ্খলা আসবে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র দাবি করেন, রাজশাহীকে বদলে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে চার বছর কাজ করেছেন। যা আজ দৃশ্যমান হয়েছে। রাজশাহী চেহারা প্রতিনিয়তই বদলে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন ও চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ হলে রাজশাহী মহানগরীতে নতুন রূপে দেখতে পাওয়া যাবে। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, বিনোদনের প্রসারসহ সকল ক্ষেত্রে রাজশাহী এগিয়ে যাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। রাজশাহী সিটি গুরুত্ব পাবে।