all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, দেশের কল্যান করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করছে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আজকে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
বুধবার বিকেলে মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, গোদাগাড়ী উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৮১ সালে ১৭ই মে দেশে ফিরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। মানিক মিয়া এভিনিউতে বলেছিলেন, ‘আমি বাবা হারিয়ে, মা হারিয়ে, ভাই হারিয়ে, সব হারিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। বাংলার মানুষের কল্যান করার জন্য পিতার মতো যদি জীবন দিতে হয়, তবুও বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটাবো।’ আজকে দেখেন সত্যি সত্যি শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রেও গৃহহীনদের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হয়নি। প্রধানমত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের জমিসহ গৃহ নির্মাণ করে দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।
রাসিক মেয়র বলেন, দিন-রাতে মাত্র ৪/৫ঘন্টা ঘুমিয়ে কীভাবে একটি মানুষ ১৮ কোটি মানুষের ১৮ কোটি সমস্যা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এটি একটি অবাক বিষয়। আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই, কীভাবে এটি সম্ভব। সেই কাজটি শেখ হাসিনা করছেন।
রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, অবিবেচকের মতো ঋণ নিয়ে শ্রীংলকার আজকের এই অবস্থা। তারা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করেছে। সীমাহীন, বেহিসেবী ব্যয়, আর তারা যে ঋণ নিয়েছে, যা তাদের পরিশোধ করার ক্ষমতা নাই। এটি শেখ হাসিনার বাংলাদেশের সাথে মেলালে হবে না। আমাদের নেত্রী প্রয়োজন ছাড়া একটি টাকাও কারো কাছে নেন না। কারণ ওই টাকা আপনার-আমাদের মাথাপিছু ঋণে হিসেবে যুক্ত হবে। তিনি জনগণকে দায়গ্রস্ত করতে চান না। বিশ^বাজারে ডলারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, সেটি আমাদের দোষ নয়। সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। তাতে আকস্মিক আমরা ধ্বংস হয়ে যাব, অথর্নীতি ধ্বসে যাবে-এমন ভাবার কোন কারণ নেই। ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। দেশে পর্যাস্ত খাদ্যশস্য আছে। দেশের পর্যাপ্ত রিজার্ভ আছে। এখন কিছুটা কমেছে, আবার বাড়বে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, খালেদা জিয়া বিশ্ব ব্যাংককে পদ্মা সেতুর জন্য ঋণ না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি গেলে সেতু ভেঙে পড়ে যাবে।’ তাই আমি অনুরোধ করি খালেদা জিয়া সহ বিএনপির নেতাকর্মীদের, তারা যেন পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার না করে। তারা যেন স্টিমার দিয়ে, লঞ্চ দিয়ে, ফেরী দিয়ে নদী পারাপার করে।
তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এবার অনেক আগ থেকে বিএনপি ও ইসলামী মৌলবাদী দলগুলো নানা রূপে, নানা বর্ণে, নানা নামে তারা কথা বলা শুরু করেছে। যারা নির্বাচনে গেলে একটি আসনও পাবে না, জামানত বায়েজাপ্ত হবে তারাও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা কথা বলছেন। তারা যতই কথা বলুক আমাদের মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা দিয়েছে। দেশের মানুষের জন্য আওয়ামী লীগের মতো দরদী কেউ হতে পারে না। এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন শেখ হাসিনা।
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা থমকে গেছিলাম। দেশকে পাকিস্তান করা হয়েছিল, জিয়াউর রহমান সেটি করেছিলেন। খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশ আর কখনো সেই রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ।
রাসিক মেয়র লিটন বলেন, আমার পিতা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জমান স্বাধীনতার পর মন্ত্রী হিসেবে গোড়াগাড়ীর উন্নয়নে কাজ করেছেন। রাজশাহী অঞ্চলে প্রায় শতাধিক স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে গোদাগাড়ীতে ডেইরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা হতো। দুধ উৎপাদন করে এখানকার মানুষ সাবলম্বী হতে পারতেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ভালো কাজ করে তখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করে বিএনপি-জামায়াত। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান ও আব্দুল আওয়াল শামীম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ এসএম একরামুল হক। সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ।
সম্মেলনে ১ম অধিবেশনে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে অয়েজ উদ্দিন বিশ^াস ও সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুর রশীদ নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় অধিবেশনে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।#