all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ১৬ মে থেকে খোলাবাজারে ১১০ টাকা লিটার সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে রোববার (১৫ মে) রাতে হুট করেই সেই কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানায় সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। ঠিক কি কারণে টিসিবির পণ্য বিক্রি স্থগিত করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার (১৬ মে) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ এসে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এক কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য দিয়েছি দু’বার। আমাদের মাথায় আছে এক কোটি মানুষকে দেওয়া রেগুলার করবো। ১৫-১৬ তারিখ থেকে যেটা দিতে চেয়েছিলাম, সেটা কিন্তু এক কোটি মানুষকে নয়, ট্রাকে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম এমন শহরগুলোতে।
‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন শহরের এই মানুষগুলোকে দেওয়া হচ্ছে, গ্রামের মানুষকে তো দেওয়া হচ্ছে না। তোমরা একটু সময় নিয়ে ঢাকাতে আমরা যে দেবো....’ বলেন টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, এর আগে ঢাকাতে আমরা কোনো তালিকা পায়নি, যে নেটওয়ার্কে গ্রামে দেওয়া হয়েছিল। ঢাকাতে ট্রাকে করে দেওয়া হয়। এক কোটির মধ্যে ১৫ লাখ মানুষকে আমরা ট্রাকে করে দেয়। বাকি ৮৫ লাখ দরিদ্রসীমার নিচে যে কার্ড থাকে তাদের দেওয়া হয়। ইনস্ট্রাকশনটা এসেছে। আমরাও রি-অ্যারেঞ্জ করেছি।
তিনি আরও বলেন, ৮৫ লাখ মানুষকে বাদ দিয়ে ১৫-১৬ লাখ মানুষকে দেয়ার চেয়ে, একটুখানি চাপ দিয়ে এই ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা ও বরিশালে তালিকা আমরা করিয়ে নেবো, যাদের আমরা দেবো। তাহলে জুনের প্রথম থেকেই আমরা এক কোটি মানুষকে দেওয়া শুরু করতে পারবো। এই ১৫ দিন পিছিয়ে গেছি, আসলে আরও বেশি অ্যাডভ্যান্স হওয়ার জন্য।
এর আগে টিসিবি থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ১৬ মে থেকে খোলাবাজারে ১১০ টাকা লিটার সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি শুরু করা হবে। তবে রোববার রাতে হুট করেই সেই কার্যক্রম স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি দেয় সংস্থাটি।
সংস্থাটি বলছে, রাজধানীতেও এখন শুধু ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য দেওয়া হবে। খোলাবাজারে ট্রাকে করে আর পণ্য বিক্রি হবে না। ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রম বাস্তবায়নে সোমবার (১৬ মে) থেকে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি স্থগিত করা হয়েছে।
টিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিক্রয় কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা ও প্রকৃত সুবিধাভোগীর কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সরকার নীতিগতভাবে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল, মশুর ডাল, চিনি) বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ঢাকা (উত্তর ও দক্ষিণ) ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ফ্যামিলি কার্ড প্রণয়ন ও বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর হতে শুধুমাত্র এই কার্ডের মাধ্যমেই টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সে কারণে ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নিমিত্তে চলতি মাসের স্বল্প পরিসরে সাধারণ ট্রাকসেল কার্যক্রম (১৬ হতে ৩০ পর্যন্ত) স্থগিত করা হলো।
আগামী জুন মাসে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের কাছে টিসিবির ভর্তুকিমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করা হবে বলে টিসিবি জানায়।
এতদিন রাজধানীতে খোলাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সারাদেশের নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী ও ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করেছে সরকারি এ বিপণন সংস্থা। যা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে করে ভ্রাম্যমাণে বিক্রি করা হতো। ফ্যামিলি কার্ড প্রবর্তনের কারণে এ সুযোগ এখন আর থাকছে না।