ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মুশফিকের ক্যারিয়ারে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে

ক্রিকেটার মুসফিকের আজ ৩৫ তম জন্মদিন।

  • ফিচার ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
  • ৪১৬ বার পড়া হয়েছে

মুশফিকুর রহিম

বাংলাদেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র বললে ভুল বলা হবে না তাঁকে। দেশের ক্রিকেটের অনেক সাফল্য মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে এসেছে। কখনো দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কখনো ব্যাট হাতে, আবার কখনো উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে দারুণ সব সাফল্য এনে দিয়েছেন। ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত এই তারকা ক্রিকেটারের আজ ৩৫তম জন্মদিন।

১৯৮৭ সালের ৯ মে বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন মুশফিক। তিনি বগুড়া জিলা স্কুল এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ছাত্র ছিলেন। ঘরোয়া ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফরের জাতীয় দলে প্রথম সুযোগ পান মুশফিক। ইংল্যান্ডের মাটিতে সেটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম সফর। লর্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি খুব একটা সাফল্য পাননি। নিজের অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অবশ্য সে ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১০৮ রানে অলআউট হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেন মাত্র ৩ রান।

তবে শুরুটা ভালো না হলে ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অনেক অর্জন নিজের ঝুলিতে পুরেছেন মুশফিক। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৫৭টি ম্যাচ খেলে ১৩,১২৪ রানের পাশাপাশি ৪২২টি ডিসমিসালে বিশ্বের সর্বকালের সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।

মুশফিকের ক্যারিয়ারে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কলোম্বোর পি সারা ওভালে বাংলাদেশের শততম টেস্টে তাঁর নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে।

২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মুশফিক বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মতো খেলোয়াড়রা। সেই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ছিল বাংলাদেশ।

২০০৯ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে মুশফিক বাংলাদেশ দলের সহঅধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি ভারতের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের প্রথম টেস্টে মুশফিক তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন।

২০১১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান মুশফিক। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছিল। তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুশফিকের ক্যারিয়ারে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে

ক্রিকেটার মুসফিকের আজ ৩৫ তম জন্মদিন।

আপডেট সময় ০৮:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২

বাংলাদেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র বললে ভুল বলা হবে না তাঁকে। দেশের ক্রিকেটের অনেক সাফল্য মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে এসেছে। কখনো দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কখনো ব্যাট হাতে, আবার কখনো উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে দারুণ সব সাফল্য এনে দিয়েছেন। ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত এই তারকা ক্রিকেটারের আজ ৩৫তম জন্মদিন।

১৯৮৭ সালের ৯ মে বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন মুশফিক। তিনি বগুড়া জিলা স্কুল এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ছাত্র ছিলেন। ঘরোয়া ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফরের জাতীয় দলে প্রথম সুযোগ পান মুশফিক। ইংল্যান্ডের মাটিতে সেটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম সফর। লর্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি খুব একটা সাফল্য পাননি। নিজের অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অবশ্য সে ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১০৮ রানে অলআউট হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেন মাত্র ৩ রান।

তবে শুরুটা ভালো না হলে ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অনেক অর্জন নিজের ঝুলিতে পুরেছেন মুশফিক। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৫৭টি ম্যাচ খেলে ১৩,১২৪ রানের পাশাপাশি ৪২২টি ডিসমিসালে বিশ্বের সর্বকালের সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।

মুশফিকের ক্যারিয়ারে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কলোম্বোর পি সারা ওভালে বাংলাদেশের শততম টেস্টে তাঁর নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে।

২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মুশফিক বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মতো খেলোয়াড়রা। সেই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ছিল বাংলাদেশ।

২০০৯ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে মুশফিক বাংলাদেশ দলের সহঅধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি ভারতের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের প্রথম টেস্টে মুশফিক তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন।

২০১১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান মুশফিক। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছিল। তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।