all-in-one-wp-security-and-firewall
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114ভদ্রা মোড় রাজশাহী মহানগরীর একটি ব্যাস্ততম এলাকা। প্রতিদিন প্রায় হাজারো মানুষের আনাগোনা থাকে শহরের এই এলাকাটিতে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এই এলাকাটিকে ঢেলে সাজিয়েছে, প্রসস্ত রাস্তা, ল্যাম্পপোষ্ট, ফুটপাত ও ড্রেনেজ ব্যাবস্থা চোখে পড়ার মতো। তবে একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ভদ্রা বাস স্ট্যান্ডের পাশেই রয়েছে মালিকানাধিন একটি টয়লেট এবং পাশেই একটি কনষ্ট্রাকশন সাইটের বর্জ্য পানি প্রবাহের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ফুটপাতের পাশের ড্রেনটি। এতে ড্রেনটির ধারনক্ষমতার থেকে বেশি চাপ পড়ছে, অন্যদিকে টয়লেটেরসহ আশেপাশের বিভিন্ন অবকাঠামো এমনকি বাসা বাড়ির বর্জ্য পানির লাইন সংযুক্ত করা হয়েছে এই ড্রেনটি দিয়ে। ফলে সরু ড্র্রেনটি পরিনত হয়েছে বদ্ধ নালায়, যেহেতু ড্রেনটি এসব ভারি বর্জ্যের কারনে আবদ্ধ এবং স্রোতহীন হয়ে পড়েছে সেহেতু ড্রেনের পানি গুলো পানি নিষ্কাশনের পথ দিয়ে রাস্তার উপরে উঠে আসছে।
ড্রেনের ধার ঘেষে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বিপনী বিতানসহ খাদ্য পণ্যের দোকান এবং পাশের টয়লেটের এসব পানি থেকে বের হয় প্রচন্ড দূর্গন্ধ ফলে যেমন শারীরিক অসুস্থতা সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনই দোকান গুলোতে আসা ক্রেতাদের অবস্থা নাজেহাল। এসব বিপনী বিতান গুলোর পক্ষ থেকে একধিকবার টয়লেট মালিক, কাউন্সিলর এবং সিটি কর্পোরেশনকে অভিযোগ দেয়া হলেও এখনো মেলেনি তার সুষ্ঠ সুরাহা।
গতকাল শনিবার (৭মে) ভদ্রা মোড়ে গিয়ে দেখা যায় রাস্তার পাশে সবুজ বর্ণের পানি থেকে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে, অতিব প্রয়োজন ছাড়া কোন মানুষ স্থানটিতে দাড়াতে পারছে না, এদিকে মানুষজন না থাকায় আশপাশের দোকান গুলোতে নেই বেচাকেনা।
এবিষয়ে স্থানীয় এক দোকানী রফিকুল ইসলাম জানান, রোজার মাসেও আমরা এই সমস্যা নিয়ে দোকান করেছি, আশানুরূপ ব্যবসা না হওয়ায় কর্মচারীদের বেতন দিতে পারি নি। বারবার এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়া হলেও ব্যবস্থা নেয় নি কেউ। এখানটি থেকে প্রচুর দূর্গন্ধ বের হয় এবং আমাদের নিশ্বাস নেয়াও কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
রাত্রিকালীন রাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সুপারভাইজার শান্ত বলেন, প্রতিদিন আমাদের এই দূর্গন্ধের মধ্যেই কাজ করতে হয়, ড্রেনের পানি আমরা পরিস্কার করতে পারি কিন্তু কেউ যদি এতে মলমূত্র ফেলে জায়গাটি সেফটি ট্যাঙ্ক বানিয়ে ফেলে তাহলে আমাদের কি করার ভাই বলেন?
অন্যদিকে আরেকজন ব্যবসায়ী আজিজুল আমাদের বলেন, বারবার অভিযোগ দিয়েছি তাও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেই নি, আমরা এর কারণে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছি।
রাসিকের আরেকজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই জায়গায় আবর্জনা তোলা তো দূরে থাক, এর পাশে দিয়ে হেঁটে গেলেও প্রচুর দূর্গন্ধের মধ্যে পড়তে হয়।
এসকল বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে কথা হয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের হিসাব সহকারী বাহারুল আলম সাগরের সাথে তিনি জানান, বিষয়টি আমাদের জানা ছিলো না তবে দ্রতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং অবৈধ এসব স্যানিটারি পাইপ গুলো লাগানো বিষটিও তদন্ত করা হবে।
রাসিকের ২৭নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে একাধিকবার পরিচ্ছন্নতাকর্মী পঠিয়ে জায়গাটি পরিস্কার করি তবে তাও কোনো কাজে আসে না, আমরা এ বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ দিয়েছি আশা করা যায় দ্রতই জায়গাটি উদ্ধার করে আবারো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে। ব্যাক্তি মালিকানাধিন গনসৌচাগার এবং পাশে থাকা অতিথি হোটেল এর বর্জ্য গুলো যেন ড্রেনে না ফেলে সে বিষয়ে আমরা তাদের অবগত করেছি তবুও বিষয়টি নিয়ে কর্ণপাত করেনি তারা।
ভদ্রা মোড়ের দোকান গুলোতে হাতে গোনা কিছু ক্রেতা দেখা যায় তারা বলেন, আমাদের এই জায়গাটিতে খুবই সমস্যা হয়, পেটে ক্ষুধা নিয়ে এই জায়গায় এলেও কোন খাবার খেতে রুচি হয়না। সরকারের কাছে বলতে চাই এই দূর্ভোগের সমাধান যেন দ্রতই হয়ে যায়।
এদিকে অভিযুক্ত এসব অবকাঠামোর মালিকদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এ বিষয় এড়িয়ে যায়।