প্রতিষ্ঠার চার বছরেও অবকাঠামোয় পূর্ণতা পায়নি বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। শহীদ মিনার, মেডিকেল সেন্টার, ল্যাব নেই। শিক্ষক আর জনবল সংকট তো আছেই। এত সমস্যার মধ্যে ফেসবুকে ছাত্রাবাসে মাদক সেবনের ভিডিও কলেজটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। কলেজের অধ্যক্ষ সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা জানান।
মাদক সেবনরত এই শিক্ষার্থীরা বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের। ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষে প্রায় দিনই মাদকের জমজমাট আড্ডা বসে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবাদ করলে বহিরাগতদের দিয়ে শাসানো হয় বলে জানায় মাদকবিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে কলেজ প্রশাসনেরও। তবে ভিডিওটি পুরনো জানিয়ে ৫ জনকে বহিষ্কারসহ কঠোর নজরদারির কথা জানান বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও রসায়ন বিভাগের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম।
দক্ষ জনশক্তি গড়তে বরিশালের মূল শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুরে ৮ একর জমিতে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটি। ৪ বছর পার হতে চললেও শহীদ মিনার, মসজিদ, মেডিকেল সেন্টার, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, ল্যাব না থাকার পাশাপাশি শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যার কথা জানায় শিক্ষার্থীরা।
নানান সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা জানান অধ্যক্ষ মো. খলিল উদ্দিন।
কলেজটিতে বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, এই দুটি বিভাগের চার ব্যাচে ৪৪৩ আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছে।