ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সালমোনেল্লা টাইফিমিউরিয়াম ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে।

শিশুদের প্রিয় কিন্ডার জয় থেকে হতে পারে প্রাণঘাতী রোগ।

ফাইল ছবি।

শিশুদের প্রিয় কিন্ডার জয় চকলেটে আছে সালমোনেলোসিস রোগের বীজ!
করোনার প্রকোপের মাঝেই নতুন একটি রোগের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রোগটির নাম সালমোনেলোসিস।

সম্প্রতি ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বসাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এটি। এই রোগটি সালমোনেল্লা টাইফিমিউরিয়াম ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়াচ্ছে।

মূলত পশুর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়ার হদিস মিললেও খাবার ও পানীয়র মাধ্যমে তা মানুষের শরীরেও প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া মাংস, ডিম কিংবা দুগ্ধজাত খাবারের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। পশু কিংবা মানুষের মল থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, এ পর্যন্ত ১৫০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুরাই এই ব্যাকটেরিয়াজনিত অন্ত্রের রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে নয় শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো মৃত্যুর খবর আসেনি।

চিকিৎসকরা বলছেন, সালমোনেলা রোগের উপসর্গের সঙ্গে টাইফয়েডের উপসর্গের মিল পাওয়া গেছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে বমি, পেট ব্যথা, ঝিমুনি ভাব, জ্বর, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

খাবার বা পানীয়তে ৬-৭২ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। একবার সংক্রমিত হলে প্রায় সাত দিন এই উপসর্গগুলো রোগীর মধ্যে লক্ষ করা যায়।

শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। অবস্থা অনুকূলে না থাকলে এই রোগ প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এই রোগের কারণ খুঁজে পেয়েছেন কিন্ডার জয়ের চকলেটে। তাদের দাবি, বেলজিয়ামে তৈরি কিন্ডার সংস্থার চকলেট থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষতিকর এই ব্যাকটেরিয়া সালমোনেল্লা টাইফিমিউরিয়াম।

এ বিষয়ে হু জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশ থেকে এই অভিযোগ আসার পর, কিন্ডার সংস্থা নিজেদের চকলেট বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে প্রায় ১১৩টিরও বেশি দেশে এই চকলেট রফতানি করা হয় বেলজিয়াম থেকে। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১টি দেশে চকলেটে এই ব্যাকটেরিয়ার জেনেটিক সিকোয়েন্স ধরা পড়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সালমোনেল্লা টাইফিমিউরিয়াম ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে।

শিশুদের প্রিয় কিন্ডার জয় থেকে হতে পারে প্রাণঘাতী রোগ।

আপডেট সময় ০২:৪৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

শিশুদের প্রিয় কিন্ডার জয় চকলেটে আছে সালমোনেলোসিস রোগের বীজ!
করোনার প্রকোপের মাঝেই নতুন একটি রোগের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রোগটির নাম সালমোনেলোসিস।

সম্প্রতি ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বসাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এটি। এই রোগটি সালমোনেল্লা টাইফিমিউরিয়াম ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়াচ্ছে।

মূলত পশুর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়ার হদিস মিললেও খাবার ও পানীয়র মাধ্যমে তা মানুষের শরীরেও প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া মাংস, ডিম কিংবা দুগ্ধজাত খাবারের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। পশু কিংবা মানুষের মল থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, এ পর্যন্ত ১৫০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুরাই এই ব্যাকটেরিয়াজনিত অন্ত্রের রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে নয় শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো মৃত্যুর খবর আসেনি।

চিকিৎসকরা বলছেন, সালমোনেলা রোগের উপসর্গের সঙ্গে টাইফয়েডের উপসর্গের মিল পাওয়া গেছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে বমি, পেট ব্যথা, ঝিমুনি ভাব, জ্বর, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

খাবার বা পানীয়তে ৬-৭২ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। একবার সংক্রমিত হলে প্রায় সাত দিন এই উপসর্গগুলো রোগীর মধ্যে লক্ষ করা যায়।

শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। অবস্থা অনুকূলে না থাকলে এই রোগ প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এই রোগের কারণ খুঁজে পেয়েছেন কিন্ডার জয়ের চকলেটে। তাদের দাবি, বেলজিয়ামে তৈরি কিন্ডার সংস্থার চকলেট থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষতিকর এই ব্যাকটেরিয়া সালমোনেল্লা টাইফিমিউরিয়াম।

এ বিষয়ে হু জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশ থেকে এই অভিযোগ আসার পর, কিন্ডার সংস্থা নিজেদের চকলেট বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে প্রায় ১১৩টিরও বেশি দেশে এই চকলেট রফতানি করা হয় বেলজিয়াম থেকে। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১টি দেশে চকলেটে এই ব্যাকটেরিয়ার জেনেটিক সিকোয়েন্স ধরা পড়েছে।