সেনা অফিসার থেকে একজন আদর্শ অভিনেতা হাসান মাসুদ
আর দশজন মানুষের মতোই তিনি সাধারণ একজন। ছিলেন সাংবাদিক ও সামরিক কর্মকর্তা। একদিন সেই সাধারণ মানুষটি নিজেকে আবিষ্কার করলেন টেলিভিশনের পর্দায়। প্রথম অভিনয়েই চলে এলেন দর্শকের পছন্দের তালিকায়। এরপর একের পর এক নাটকে তার অনবদ্য অভিনয় মুগ্ধ করেছিল সবাইকে। হাসান মাসুদ। নাটকের মানুষ না হয়েও সেই নাটকেই ঠাঁই হলো তার
২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ ছবিতে অন্য রকম একটি চরিত্রে তাকে পাওয়া যায়। অভিষেক সিনেমাটি দিয়েই দর্শকের নজরবন্দি হয়ে যান এই অভিনেতা। পরে টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘৬৯’-এ কাজ শুরু করেন। বলা বাহুল্য, তুমুল জনপ্রিয়তা পান এই অভিনেতা। তারকা হতে প্রয়োজন হয় সুন্দর চেহারা বা সুদর্শন শরীরের–ঠিক এই ট্যাবুটাই ভেঙেছিলেন হাসান মাসুদ।
ঠিক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে যা প্রয়োজন, সবটুকুই যেন রয়েছে তার মধ্যে। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা কাজ করেছেন এই তারকা।
আরও পড়ুন: আসছে ‘ব্যাচেলর রমজান’
এত দর্শকপ্রিয়তা থাকার পরও হঠাৎ করেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনয় আর করবেন না। অভিনয় ছেড়ে ভিন্ন কিছু করার প্রয়াস থাকলেও এই বয়সে কোনো চাকরি করতে পারবেন না–এমন কিছু ভেবেই আবারও কাজে ফিরেছিলেন এই তারকা। প্রায় ৪ বছরের বিরতি শেষে ২০২০ সালে আবারও কাজে মনোযোগ দেন এই তারকা। বর্তমানে ব্যস্ত আছেন ঈদের নাটক ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে। মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, গোয়ালন্দ যাচ্ছেন তার তৃতীয় ওয়েব সিরিজের কাজে। এ ছাড়া ঈদে ‘ডিস্টার্ব ভাই’ নামে তার একটি নাটকও প্রচার হবে।
আবারও নিয়মিত তাকে পর্দায় দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন হাসান। তবে অভিনয়ই নয়, ছোটবেলা থেকে গান গেয়ে আসছেন এবং ছায়ানট থেকে নজরুল সংগীতের ওপর ৫ বছরের একটি কোর্স সম্পন্ন করেছেন এই অভিনেতা। একসময় সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকা এই অভিনেতা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তী কালে সেই সময়ের নানা ঘটনা নিয়ে বইও লিখেছিলেন।