রাজশাহীতে দুই ব্যক্তির ছবিসহ মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারী ঐ ব্যক্তির নাম বাবু। সে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রীমা থানাধীন রবের মোড়ের ইউনুস আলীর ছেলে। পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, গত ১০ এপ্রিল র্যাব-৫ এর অভিযানে নগরীর আসাম কলোনি এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুবেলসহ ৬ জনকে ২৭.৫ কেজি ভাং পাতাসহ আটক করেন। আটকের পর থেকে সে তার ফেইসবুক আইডিতে আমার ও সাদ্দাম নামে এক ব্যক্তির ভুয়া মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করছেন। তিনি বলেন তার আটকের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবুও রুবেল ও তার পরিবারসহ অনেকে আমাদের দোষী বানিয়ে আমিসহ সাদ্দামের নামে ফেইসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যদিও আমাদের বিরুদ্ধে থানা ফাঁড়িতে কোন মামলা বা জিডিও নেই। তবুও সম্পুর্ণ সন্দেহের বশে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এতে সমাজে আমার ও সাদ্দামের পরিবারের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। বরং কথিত পুলিশের সোর্স ক্ষ্যাত রুবেল গত ১৪ মার্চ আমার স্ত্রী নাসরিনকে ১০ গ্রাম হেরোইন দিয়ে আমাকে ফাঁসাতে চেয়েছিলো। কিন্তু প্রশাসন বুঝতে পেরে আমাকে গ্রেফতার না করে আমার স্ত্রীকেই আটক করেন। যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ফলাও ভাবে প্রকাশ হয়েছে। পরে অবশ্য আমার স্ত্রী স্বীকার করেন তার নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে রুবেল ও তার ভাগনী শিল্পী হেরোইন দিয়ে আমাকে ফাঁসাতে চেয়েছিলো। আমার স্ত্রী আমার উপর রাগে তাদের পরামর্শ নিয়ে এই কাজটি করেছিলো। এ সময় আমার স্ত্রীর হাতে রুবেল ও শিল্পী হেরোইন তুলে দেয়।
এলাকাবাসী জানায়, রুবেল এলাকায় বিভিন্ন জনকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করাতেন। এছাড়াও সে তার পছন্দের পুলিশ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার লক্ষে সাধারণ মানুষজনকে ফাঁসাতেন বলে এলাকাবাসী জানান।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে রুবেল ভাংড়ি ব্যবসার নামে চোর সিন্ডিকেট লালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ ই ফেব্রুয়ারীতে চোরাই অটো ক্রয়ের দায়ে রুবেলের ছেলে নিশান আটক হয় নাটোর সদর থানা পুলিশের হাতে। ঐ ঘটনায় রুবেল পলাতক ছিলো।
রুবেল র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে অভিমত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের।
কথা বললে চন্দ্রীমা থানার ওসি ইমরান বলেন, কারো বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর কোন সুযোগ নাই। অপপ্রচার ছড়ানোকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আমি এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।