পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। খবর ডনের।
খবরে বলা হয়, ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েক মিনিট আগে দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের আগে আসাদ কায়সার বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’ অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেছেন, মন্ত্রিসভা থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ নথি’ পেয়েছেন, যা বিরোধীদলের নেতা এবং পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতিকে দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আসাদ কায়সার বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে স্পিকারের পদ থেকে পদত্যাগ করবো। যেহেতু এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব এবং এটি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত। তাই আমি প্যানেল চেয়ারম্যান আয়াজ সাদিককে অধিবেশন পরিচালনা করতে বলবো।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টাতেই বসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশন। কিছুক্ষণ না যেতেই দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তা মুলতবি করা হয়। পুনরায় অধিবেশন বসতে না বসতে আবারও মুলতবি।
এভাবে তিন দফা মুলতবি শেষে ইফতারের পর অধিবেশন শুরু হয়। তবে এবারও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা এলো না। আবার বিরতি। স্পিকার জানান, রাত সাড়ে নয়টায় অধিবেশন বসবে। এবার বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি শুরুর আগে নিজেদের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পাকিস্তানের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার।