ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যমুনা রেলসেতুতে পূর্ণ ১২০ কিঃমিঃ গতিতে ট্রেনের ট্রায়াল রান

যমুনা নদীর উপর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পূর্ণ গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ট্রেনে চলাচল শুরু করেছে, এটি চলবে আগামীকাল পর্যন্ত।

 

৫ জানুয়ারি রোববার সকা‌লে তথ্যটি নিশ্চিত করে রেলওয়ে সেতুটির প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান।

 

তিনি বলেন,পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সময় একটি ট্রেন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ভূঞাপুর অংশের পূর্বপাড় থেকে ছেড়ে সিরাজগঞ্জের পশ্চিম অংশে যায়। সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে অপর একটি ট্রেন একটি ইঞ্জিন বগি নিয়ে পশ্চিম প্রান্তের দিকে পূর্নগতি নিয়ে (১২০ কিঃমিঃ)সেতু পরাপার করা হয়।

তিনি আরো জানান, রেলওয়ে সেতুটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

যমুনা রেলওয়ে সেতুর চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনুল ইসলাম

বলেন, আজ ৫জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনের গতি নির্ধারনের অংশ হিসেবে প্রথমে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে, ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন সেতুর পূর্ব পাড় থেকে পশ্চিম পাড়ে ও পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে ছেড়ে যায়। এরপর সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে, দ্বিতীয়বার ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে দুই পাশ থেকে ট্রেন দুটি সেতু অতিক্রম করে। এরপর ১১টা ১ মিনিটে একটি ট্রেন সেতু পশ্চিম পাড় থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে ওঠে ও ১১টা ৫ মিনিটে পূর্ব পাড় থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পশ্চিম পাড়ের সেতুর শেষ অংশ অতিক্রম করে। এভাবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলানো হলো।

 

উল্লেখ, গত ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৪০ কি.মি. গতিসীমায় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষা মূলকভাবে ট্রেন চলাচল ক‌রে‌ছে। এর পর ৬ জানুয়ারি রোববার (১২০ কিঃমিঃ)পূর্ণ গতি দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালাচল শুরু ক‌রলো।

 

এই ট্রায়াল রানে WDM 3D 6543, 6545, 6546, 6548 এই ৪ টি লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়েছে।

৬ জানুয়ারি রেলসেতুতে GIBR হবে।

 

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৯ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ১২ হাজার ১৪৯ দশমিক ২ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিয়েছেন। এই প্রকল্পের মূল নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ এ স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়। এরপর গত ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৪০ কি.মি. গতিসীমায় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ট্রেন চলে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দিল্লিতে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সালিভান, আলোচনায় কী?

যমুনা রেলসেতুতে পূর্ণ ১২০ কিঃমিঃ গতিতে ট্রেনের ট্রায়াল রান

আপডেট সময় ০৫:৩২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

যমুনা নদীর উপর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পূর্ণ গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ট্রেনে চলাচল শুরু করেছে, এটি চলবে আগামীকাল পর্যন্ত।

 

৫ জানুয়ারি রোববার সকা‌লে তথ্যটি নিশ্চিত করে রেলওয়ে সেতুটির প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান।

 

তিনি বলেন,পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সময় একটি ট্রেন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ভূঞাপুর অংশের পূর্বপাড় থেকে ছেড়ে সিরাজগঞ্জের পশ্চিম অংশে যায়। সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে অপর একটি ট্রেন একটি ইঞ্জিন বগি নিয়ে পশ্চিম প্রান্তের দিকে পূর্নগতি নিয়ে (১২০ কিঃমিঃ)সেতু পরাপার করা হয়।

তিনি আরো জানান, রেলওয়ে সেতুটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

যমুনা রেলওয়ে সেতুর চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনুল ইসলাম

বলেন, আজ ৫জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনের গতি নির্ধারনের অংশ হিসেবে প্রথমে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে, ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন সেতুর পূর্ব পাড় থেকে পশ্চিম পাড়ে ও পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে ছেড়ে যায়। এরপর সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে, দ্বিতীয়বার ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে দুই পাশ থেকে ট্রেন দুটি সেতু অতিক্রম করে। এরপর ১১টা ১ মিনিটে একটি ট্রেন সেতু পশ্চিম পাড় থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে ওঠে ও ১১টা ৫ মিনিটে পূর্ব পাড় থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পশ্চিম পাড়ের সেতুর শেষ অংশ অতিক্রম করে। এভাবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলানো হলো।

 

উল্লেখ, গত ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৪০ কি.মি. গতিসীমায় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষা মূলকভাবে ট্রেন চলাচল ক‌রে‌ছে। এর পর ৬ জানুয়ারি রোববার (১২০ কিঃমিঃ)পূর্ণ গতি দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালাচল শুরু ক‌রলো।

 

এই ট্রায়াল রানে WDM 3D 6543, 6545, 6546, 6548 এই ৪ টি লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়েছে।

৬ জানুয়ারি রেলসেতুতে GIBR হবে।

 

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৯ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ১২ হাজার ১৪৯ দশমিক ২ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিয়েছেন। এই প্রকল্পের মূল নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ এ স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়। এরপর গত ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৪০ কি.মি. গতিসীমায় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ট্রেন চলে।