আমাদের চৌরাস্তা একটি বৃহৎ বাজার, এ বাজারে সারা বাংলাদেশের মানুষ কেনাবেচা করে। এখানে শুধু আমরা নয় এখানে সকল মানুষ কেনাবেচা করে। যারা আজকের এ কমিটি পরিচিতি সভায় আছেন এবং যারা অনুপস্থিত জাতীয়তাবাদী শক্তিতে আছেন তারা সকলে দোকানদারদের সহযোগীতা করতে হবে। যেনো তারা দোকানদারি করতে পারে। একই সাথে যারা ক্রেতা তাদেরও সহযোগীতা করতে হবে তারা যেনো সুন্দরমতো এখানে বাজার করতে পারে।
গাজীপুরে চৌরাস্তা সুপার মার্কেটের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কমিটির সভাপতি ও অনুষ্ঠান প্রধান মোঃ শওকত হোসেন বাবু। তিনি আরো বলেন ক্রেতারা হলো নদী আর বিক্রেতারা হলো মাছ নদী ছাড়া মাছ বাঁচেনা। তাই নদী ও মাছের মধ্যে যুক্ত হয়ে আপনারা (কমিটির) যারা আছেন তারা হলেন নদীর পাড়। তাই আপনাদের জাতীয়তাবাদী শক্তির সকলকে নিয়ে সকল ব্যাবসায়ীদের সাথে বসবো যেন অতিত কমিটির ন্যায় কারো যেন বদনাম না হয়। পূর্বের কমিটি যেভাবে চাঁদাবাজি করেছে তেমন বদনাম যেনো না হয়।
বাবু বলেন এটি চাঁদাবাজির স্থান নয় এটি একটি সামাজিক স্থান, কোন দলীয় প্রতিষ্ঠানও নয়, এটি একটি সামাজিক স্থান বাজার কমিটি। জাতীয়তাবাদী শক্তির যারা আছেন সু-শীল সমাজের প্রতিনিধি সাংবাদিক সকলকে নিয়ে একটি সুন্দর বাজার কমিটি উপহার দিতে হবে। সভাপতি বলেন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত একটি সংগঠন তৈরী করতে হবে সকলকে নিয়ে।
বক্তব্যে নবগঠিত কমিটির সভাপতি বাবু সাবেক পতীত আ’লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘অতীতে যেই ফ্যাসিস্ট সরকার ছিলো আপনাদের কলম, মুখ বন্ধ করে রেখেছিলো। শুধু সাংবাদিক ভাইদের না সকলের মুখ বন্ধ করে রেখেছিলো। আপনাদের কলমের শক্তি বড় শক্তি আপনারা সততার সহিত সাংবাদিকতা করেন, আপনারা আমাদের ভূল ধরিয়ে দিবেন, আপনারা আমাদের ভাই। কিছু সাংবাদিক ভূলভাল লিখালিখি করে তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের কাছে বিচার রইলো। তাদের খোঁজে বের করার দায়িত্ব আপনাদের তাদের মিথ্যা নিউজগুলির কারনে আপনাদের বদনাম হয়।
তিনি আরো বলেন আমার নেতা বিএনপির নেতা তারেক রহমান বলেছেন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে আমার কানে আসলে সে যেই হউক তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। তিনি বলেন তারেক রহমানের আদর্শের সৈনিক, জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক, খালেদা জিয়া আমাদের মা তাদের সৈনিক চাঁদাবাজি করতে পারে না। আমরা চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত না, যদি থাকি আপনারা সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক ভাইয়েরা যারা আছেন তারা ধরায়ে দিবেন আপনারা যে বিচার করে দিবেন তা মেনে নিতে আমরা বাধ্য। কেননা আপনারা সকলে সমাজের একটি মাথা। আপনাদের নিয়ে এ ঐতিজ্যবাহী বাজারকে আমরা আধুনিক বাজারে রুপান্তরিত করতে পারি সেজন্যে আপনারা সহযোগীতা করবেন।
তিনি বলেন এ বাজারকে যারা শ্রম দিয়ে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত করেছেন তাদেরকে-সহ উপস্থিত সকলকে বাসন থানা বিএনপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান নবগঠিত কমিটির সভাপতি বাবু। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বাজার একটি মহল দখলের পায়তারা করছে, তাদের ষড়যন্ত্র রুখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান সভাপতি। বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে সকলের সমন্বয়ে মনিটরিং সেল করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন অনিয়ম দূর্নিতির প্রমান দিতে পারলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবো।
এর আগে ফিতা কেটে ক্বুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে আলোচনা শুরুর পূর্বে সভাপতি-সহ ২১জনকে কমিটির বিভিন্ন দায়িত্বে রেখে ৫৬সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে এতে আরও সদস্যপদ গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান সভাপতি।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বিএনপির বাসন থানা সাংগঠনিক সম্পাদক ও কমিটির সভাপতি শওকত হোসেন বাবু। কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আমান, বাসন থানা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
উপস্তিত ছিলেন ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, বাসন মেট্রো থানা যুবদলের সদস্য সচিব নাহিদ চৌধুরী বাবু, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আয়নাল হক, বাসন মেট্রো থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মুনসুর আহমেদ, ভাওয়াল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নাট্য সম্পাদক বদিউজ্জামান বাবুল, সাবেক প্রচার সম্পাদক জিয়াউল করিম জুয়েল, যুবনেতা শামীম মুন্সি, বিপ্লব, বিএনপি নেতা আফসার জলিল-সহ নবগঠিত কমিটির অন্যান্যরা।
পরে দোয়া মোনাজাত শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।