Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
রামুর যুবলীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আঃ মাবুদের স্বাক্ষরিত ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সে সাবেক এমপি কমলের হিমছড়ি ফিলিং স্টেশন প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামুর যুবলীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আঃ মাবুদের স্বাক্ষরিত ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সে সাবেক এমপি কমলের হিমছড়ি ফিলিং স্টেশন প্রকল্প অনুমোদন

কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী যুবলীগ নেতা আব্দুল মাবুদের স্বাক্ষরিত ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে সাবেক এমপি কমলের হিমছড়ি ফিলিং স্টেশন নামে প্রকল্প অনুমোদন নিয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হক কোম্পানি । জানা যায়, কক্সবাজারের রামু খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান না হয়েও সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী যুনলীগ নেতা আবদুল মাবুদ মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে দুটি ভুয়া ও জাল ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেন।

 

যার একটি মউমি রিসোর্ট এর নামে আর অন্যটি হিমছডি ফিলিং স্টেশন এর নামে। একটি ইস্যু করা হয় সাবেক এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল গং এর নামে এবং অন্যটি আখলাক আহমেদ এর নামে। এই দুটি ট্রেডলাইসেন্সের কোন অর্থ খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের কোষাগারে জমা হয়নি বলে জানান চেয়ারম্যান আবদুল হক কোম্পানি।

 

জানা যায়, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী যুনলীগ নেতা আবদুল মাবুদ ক্রমিক নং-৯৪৭, লাইসেন্স নং-৫২/২১-২৫ তারিখ- ১৪/০৭/২০২১ইং ফুয়েল, এলপিজি চার্জিং ষ্টেশন এবং মুবিল এর ব্যবসায়ের ধরন উল্লেখ করে হিমছড়ি ফিলিং ষ্টেশন নামীয় ব্যক্তি মাহামুদুল হক গংকে ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদী ১টি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে প্রদান করে। অপরদিকে ক্রমিক নং-৯০৮ লাইসেন্স নং-১৬৫/২১-২৫ তারিখ-১২/০৭/২০২১ইং মাউই রিসোর্ট নামীয় ব্যক্তি আখলাক আহমেদকে আরোও একটি জাল ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে প্রদান করা হয়।

আবদুল মাবুদ বর্তমানে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান না থাকা সত্তেও তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ের তারিখ উল্লেখ করে বর্তমানে তাহার বাড়ি থেকে জাল ও ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স তৈরী করে তাদেরকে প্রদান করেন। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫ বছর নয় ১ বছর মেয়াদী ট্রেড লাইন্সেস ইস্যু করার সরকারী নিয়ম থাকলেও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে ৫ বছর মেয়াদী ভুয়া ও জাল ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে তা ব্যক্তিগংকে প্রদান করেন । উক্ত ট্রেড লাইসেন্স দুইটির কোনরূপ অফিস কপি ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত নেই এবং উক্ত ট্রেড লাইসেন্স দুইটির কোন রূপ ফি অত্র পরিষদের কোষাগারে জমা নেই। ফলে উক্ত ট্রেড দুইটি লাইসেন্সটি জাল বলে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।

এবিষয়ে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল হক কোম্পানি বাদী হয়ে ট্রেড লাইসেন্স জালিয়াতকারী উক্ত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক , দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল, কক্সবাজারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালী’র লোকমানের বিরুদ্ধে দুদেকে অভিযোগ 

রামুর যুবলীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আঃ মাবুদের স্বাক্ষরিত ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সে সাবেক এমপি কমলের হিমছড়ি ফিলিং স্টেশন প্রকল্প অনুমোদন

আপডেট সময় ০৮:৩৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী যুবলীগ নেতা আব্দুল মাবুদের স্বাক্ষরিত ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে সাবেক এমপি কমলের হিমছড়ি ফিলিং স্টেশন নামে প্রকল্প অনুমোদন নিয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হক কোম্পানি । জানা যায়, কক্সবাজারের রামু খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান না হয়েও সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী যুনলীগ নেতা আবদুল মাবুদ মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে দুটি ভুয়া ও জাল ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেন।

 

যার একটি মউমি রিসোর্ট এর নামে আর অন্যটি হিমছডি ফিলিং স্টেশন এর নামে। একটি ইস্যু করা হয় সাবেক এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল গং এর নামে এবং অন্যটি আখলাক আহমেদ এর নামে। এই দুটি ট্রেডলাইসেন্সের কোন অর্থ খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের কোষাগারে জমা হয়নি বলে জানান চেয়ারম্যান আবদুল হক কোম্পানি।

 

জানা যায়, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী যুনলীগ নেতা আবদুল মাবুদ ক্রমিক নং-৯৪৭, লাইসেন্স নং-৫২/২১-২৫ তারিখ- ১৪/০৭/২০২১ইং ফুয়েল, এলপিজি চার্জিং ষ্টেশন এবং মুবিল এর ব্যবসায়ের ধরন উল্লেখ করে হিমছড়ি ফিলিং ষ্টেশন নামীয় ব্যক্তি মাহামুদুল হক গংকে ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদী ১টি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে প্রদান করে। অপরদিকে ক্রমিক নং-৯০৮ লাইসেন্স নং-১৬৫/২১-২৫ তারিখ-১২/০৭/২০২১ইং মাউই রিসোর্ট নামীয় ব্যক্তি আখলাক আহমেদকে আরোও একটি জাল ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে প্রদান করা হয়।

আবদুল মাবুদ বর্তমানে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান না থাকা সত্তেও তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ের তারিখ উল্লেখ করে বর্তমানে তাহার বাড়ি থেকে জাল ও ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স তৈরী করে তাদেরকে প্রদান করেন। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫ বছর নয় ১ বছর মেয়াদী ট্রেড লাইন্সেস ইস্যু করার সরকারী নিয়ম থাকলেও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে ৫ বছর মেয়াদী ভুয়া ও জাল ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে তা ব্যক্তিগংকে প্রদান করেন । উক্ত ট্রেড লাইসেন্স দুইটির কোনরূপ অফিস কপি ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত নেই এবং উক্ত ট্রেড লাইসেন্স দুইটির কোন রূপ ফি অত্র পরিষদের কোষাগারে জমা নেই। ফলে উক্ত ট্রেড দুইটি লাইসেন্সটি জাল বলে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।

এবিষয়ে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল হক কোম্পানি বাদী হয়ে ট্রেড লাইসেন্স জালিয়াতকারী উক্ত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক , দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল, কক্সবাজারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।