ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দরবেশ বাবাদের জন্য ঋন ও লসে জর্জরিত রেল

সরকারের সবচেয়ে সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলওয়ে ঋন ও লসে জর্জরিত।

দূর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনাসহ বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে হয়ত রেলের ক্ষতি পোষানো সম্ভব।

 

ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি কোলকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত ব্রড-গেজ রেলপথ সেকশনটিকে ১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর এবং রানাঘাট থেকে দর্শনা হয়ে কুষ্টিয়া পর্যন্ত রেলপথ সেকশনটিকে ১৮৬২ সালের ১৫ই নভেম্বর চালু করে।

 

বাংলাদেশ রেলওয়েকে লাভজনক করতে হলে, প্রধান ও প্রথমতম পদক্ষেপ হচ্ছে রেলওয়েকে দুর্নীতি মুক্ত করা।

কারণ, রেলওয়ের লোকসানের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে দুর্নীতি। নিয়োগ বানিজ্য, জায়গা দখল, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও দখল, ঘুস বানিজ্য সহ কতিপয় দুর্নীতি রেলওয়েকে পেছন থেকে টানছে।

 

বাংলাদেশ রেলওয়েকে লাভজনক করার জন্য অনেক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব।যেমন

উচ্চ গতি সম্পন্ন ট্রেন সংযোন করা, যাতে মানুষ খুব অল্প সময়ে ভ্রমন করতে পারেন। সারা দেশের প্রতিটি প্রান্তের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে, অঞ্চল অনুসারে ভাড়া সমন্বয় করতে হবে। সবাইকে টিকেট করে রেল ভ্রমনে উৎসাহিত করতে হবে। সব মিলিয়ে নিরাপদ, আরামদা্যক, সাশ্র্যয়ী, নির্ভরযোগ্য ,দুর্নীতিমুক্ত, আস্থাবান প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেলওয়ে খাতকে গডে তুলতে পারলে বাংলাদেশ রেলওয়েকে লাভজনক করা যাবে।

 

বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা এত খারাপ কেন?

প্রতিনিয়ত মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে নিরাপদ ও প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার দ্রুত রেলের আধুনিকায়ন ও সংস্কার করছে না কেন?

সূত্র বলছে,বাস মালিকরা সরকার, মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, এবং রেল বিভাগকে বিপুল পরিমাণে টাকা ঘুষ দিয়ে থাকে (সুরঞ্জিতের কালো বিড়াল)।

 

 

রেলের বগির সংখ্যা কমানো – একটি লোকোমোটিভ ২৫টির মতো বগি টানতে পারে।কিন্তু রেলে বেশিরভাগ গাড়িতে মাত্র ৮ থেকে ১২ টি বগি লাগানো থাকে।

রেলগাড়ির সংখ্যা সীমিত রাখা – একই গাড়ি সকালে যায় “ABC” নামে, বিকালে ফেরে “XYZ” নামে। সবাইকে বোঝাচ্ছে যে তারা দুইটা গাড়ি চালাচ্ছে। এইভাবে তারা প্রশাসন এবং মানুষকে প্রতারিত করছে।

 

১. রেলে বিনিয়োগ কম, সেবা দেয়ার মানসিকতার অভাব

২. ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, দুর্নীতি এবং রেলের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা

৩. রেলের সম্পদ ও সম্ভাবনার অপচয়

 

বাংলাদেশে সড়ক পথের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে রেলের লোকসান সম্পর্কে সব সরকারই চোখ বুজে থেকেছে এবং আছে। রেলপথকে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করতে যে দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও আধুনিকায়ন দরকার তা নেই বরং এর অযুহাত দেখিয়ে দুর্নীতি করে মুষ্টিমেয় লোকেরা পকেট ভারী করছেন ফি বছর।

 

বাংলাদেশ রেলওয়ে হল বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রেল পরিবহন সংস্থা, যা দেশে

বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা কতটা উন্নত।

তবে আপাত দৃস্টিতে উপ মহাদেশ হিসেবে বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা কোন উন্নতি হয় নি।বরং

ঋন ও লসে জর্জরিত রেল।

 

স্বাভাবিক ভাবে ভারত এর রেল ব্যবস্থার দিকে তাকালে বুঝা যায় বাংলাদেশ রেলওয়ে কতটা পিছিয়ে। আমাদের দেশে যাত্রীর তুলনায় রেল এর বগি অতি সামান্য, এর প্রমান প্রত্যেক ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষদের দিকে তাকালেই বুঝা যায়। এছাড়াও যদি ঈদের সময় মানুষের ভীড়ের কারনে এমনটা হয়ে থাকে তাহলেও প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ট্রেন গুলোর বোঝাই দেখলেও বলা যায় বগি সংকট কতটা রয়েছে।

 

নানাবিধ কারনে রেলওয়ে সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে যাত্রীরা, আগ্রহ হারাচ্ছে রেলভ্রমনে, কমছে রেলের রাজস্ব আয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দরবেশ বাবাদের জন্য ঋন ও লসে জর্জরিত রেল

দরবেশ বাবাদের জন্য ঋন ও লসে জর্জরিত রেল

আপডেট সময় ০৭:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সরকারের সবচেয়ে সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলওয়ে ঋন ও লসে জর্জরিত।

দূর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনাসহ বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে হয়ত রেলের ক্ষতি পোষানো সম্ভব।

 

ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি কোলকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত ব্রড-গেজ রেলপথ সেকশনটিকে ১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর এবং রানাঘাট থেকে দর্শনা হয়ে কুষ্টিয়া পর্যন্ত রেলপথ সেকশনটিকে ১৮৬২ সালের ১৫ই নভেম্বর চালু করে।

 

বাংলাদেশ রেলওয়েকে লাভজনক করতে হলে, প্রধান ও প্রথমতম পদক্ষেপ হচ্ছে রেলওয়েকে দুর্নীতি মুক্ত করা।

কারণ, রেলওয়ের লোকসানের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে দুর্নীতি। নিয়োগ বানিজ্য, জায়গা দখল, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও দখল, ঘুস বানিজ্য সহ কতিপয় দুর্নীতি রেলওয়েকে পেছন থেকে টানছে।

 

বাংলাদেশ রেলওয়েকে লাভজনক করার জন্য অনেক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব।যেমন

উচ্চ গতি সম্পন্ন ট্রেন সংযোন করা, যাতে মানুষ খুব অল্প সময়ে ভ্রমন করতে পারেন। সারা দেশের প্রতিটি প্রান্তের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে, অঞ্চল অনুসারে ভাড়া সমন্বয় করতে হবে। সবাইকে টিকেট করে রেল ভ্রমনে উৎসাহিত করতে হবে। সব মিলিয়ে নিরাপদ, আরামদা্যক, সাশ্র্যয়ী, নির্ভরযোগ্য ,দুর্নীতিমুক্ত, আস্থাবান প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেলওয়ে খাতকে গডে তুলতে পারলে বাংলাদেশ রেলওয়েকে লাভজনক করা যাবে।

 

বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা এত খারাপ কেন?

প্রতিনিয়ত মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে নিরাপদ ও প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার দ্রুত রেলের আধুনিকায়ন ও সংস্কার করছে না কেন?

সূত্র বলছে,বাস মালিকরা সরকার, মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, এবং রেল বিভাগকে বিপুল পরিমাণে টাকা ঘুষ দিয়ে থাকে (সুরঞ্জিতের কালো বিড়াল)।

 

 

রেলের বগির সংখ্যা কমানো – একটি লোকোমোটিভ ২৫টির মতো বগি টানতে পারে।কিন্তু রেলে বেশিরভাগ গাড়িতে মাত্র ৮ থেকে ১২ টি বগি লাগানো থাকে।

রেলগাড়ির সংখ্যা সীমিত রাখা – একই গাড়ি সকালে যায় “ABC” নামে, বিকালে ফেরে “XYZ” নামে। সবাইকে বোঝাচ্ছে যে তারা দুইটা গাড়ি চালাচ্ছে। এইভাবে তারা প্রশাসন এবং মানুষকে প্রতারিত করছে।

 

১. রেলে বিনিয়োগ কম, সেবা দেয়ার মানসিকতার অভাব

২. ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, দুর্নীতি এবং রেলের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা

৩. রেলের সম্পদ ও সম্ভাবনার অপচয়

 

বাংলাদেশে সড়ক পথের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে রেলের লোকসান সম্পর্কে সব সরকারই চোখ বুজে থেকেছে এবং আছে। রেলপথকে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করতে যে দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও আধুনিকায়ন দরকার তা নেই বরং এর অযুহাত দেখিয়ে দুর্নীতি করে মুষ্টিমেয় লোকেরা পকেট ভারী করছেন ফি বছর।

 

বাংলাদেশ রেলওয়ে হল বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রেল পরিবহন সংস্থা, যা দেশে

বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা কতটা উন্নত।

তবে আপাত দৃস্টিতে উপ মহাদেশ হিসেবে বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা কোন উন্নতি হয় নি।বরং

ঋন ও লসে জর্জরিত রেল।

 

স্বাভাবিক ভাবে ভারত এর রেল ব্যবস্থার দিকে তাকালে বুঝা যায় বাংলাদেশ রেলওয়ে কতটা পিছিয়ে। আমাদের দেশে যাত্রীর তুলনায় রেল এর বগি অতি সামান্য, এর প্রমান প্রত্যেক ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষদের দিকে তাকালেই বুঝা যায়। এছাড়াও যদি ঈদের সময় মানুষের ভীড়ের কারনে এমনটা হয়ে থাকে তাহলেও প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ট্রেন গুলোর বোঝাই দেখলেও বলা যায় বগি সংকট কতটা রয়েছে।

 

নানাবিধ কারনে রেলওয়ে সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে যাত্রীরা, আগ্রহ হারাচ্ছে রেলভ্রমনে, কমছে রেলের রাজস্ব আয়।