ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অনারারি শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিএসএমএমইউ’র শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব

অটিজম দিবস উপলক্ষে বিএসএমএমইউতে র‌্যালি

অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অনারারি শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৩ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন উপলক্ষে বিএসএমএমইউতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।

‘এমন বিশ্ব গড়ি, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’ স্লোগানে বিএসএমএমইউতে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের (বি ব্লক) সামনে ‘ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা)’ এক র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বটতলা, টিএসসি, ডি ব্লক অতিক্রম করে এফ ব্লকে গিয়ে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ১৭ জন অটিজম সংক্রান্ত বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন রয়েছে। আমাদের এখানে অটিজম নিয়ে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তাই তাদের নিয়ে কেউ দুশ্চিন্তা না করে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

অভিভাবকদের সচেতনতার উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, শিশুর আচরণ বা চলাফেরায় কোনো ধরনের অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখতে পান, তবে দেরি না করে দ্রুত আমাদের এখানে নিয়ে আসবেন। আমরা শিশুদের দ্রুত স্ক্রিনিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। শিশু যদি অটিজম আক্রান্ত হয় তবে কেউ মন খারাপ করবেন না। স্টিফেন হকিন্সের মতো বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের অনেকেই অটিজম আক্রান্ত বিশেষ শিশু ছিলেন। অটিজম আক্রান্ত শিশুরা যদি সঠিক পরিচর্জা পান তবে তারা অনেক স্বাভাবিক শিশুর থেকেও বেশি সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠে।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সুযোগ্য কন্যা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ, স্কুল সাইকোলজিস্ট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক অ্যাডভাইসরি প্যানেলের বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশের অটিজমবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে আমাদের এখানে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমে (ইপনা) অনারারি শিক্ষক হিসেবে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

অটিজম আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য বিগত সময়ের চেয়ে বেশি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ।

এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ইপনার উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, ইপনার উপ-পরিচালক (একাডেমিক) সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, নিউরোলজিস্ট ডা. মাজহারুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

রামু সেনানিবাসে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪ পালিত

অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অনারারি শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিএসএমএমইউ’র শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব

আপডেট সময় ০২:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অনারারি শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৩ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন উপলক্ষে বিএসএমএমইউতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।

‘এমন বিশ্ব গড়ি, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’ স্লোগানে বিএসএমএমইউতে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের (বি ব্লক) সামনে ‘ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা)’ এক র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বটতলা, টিএসসি, ডি ব্লক অতিক্রম করে এফ ব্লকে গিয়ে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ১৭ জন অটিজম সংক্রান্ত বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন রয়েছে। আমাদের এখানে অটিজম নিয়ে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তাই তাদের নিয়ে কেউ দুশ্চিন্তা না করে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

অভিভাবকদের সচেতনতার উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, শিশুর আচরণ বা চলাফেরায় কোনো ধরনের অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখতে পান, তবে দেরি না করে দ্রুত আমাদের এখানে নিয়ে আসবেন। আমরা শিশুদের দ্রুত স্ক্রিনিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। শিশু যদি অটিজম আক্রান্ত হয় তবে কেউ মন খারাপ করবেন না। স্টিফেন হকিন্সের মতো বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের অনেকেই অটিজম আক্রান্ত বিশেষ শিশু ছিলেন। অটিজম আক্রান্ত শিশুরা যদি সঠিক পরিচর্জা পান তবে তারা অনেক স্বাভাবিক শিশুর থেকেও বেশি সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠে।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সুযোগ্য কন্যা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ, স্কুল সাইকোলজিস্ট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক অ্যাডভাইসরি প্যানেলের বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশের অটিজমবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে আমাদের এখানে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমে (ইপনা) অনারারি শিক্ষক হিসেবে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

অটিজম আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য বিগত সময়ের চেয়ে বেশি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ।

এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ইপনার উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, ইপনার উপ-পরিচালক (একাডেমিক) সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, নিউরোলজিস্ট ডা. মাজহারুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।