ঢাকা ০৩:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরাম এর আত্মপ্রকাশ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৫:০৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরাম এর আত্মপ্রকাশ নামে আত্ম প্রকাশ করেছে । আজ ১০ই সেপ্টেম্বর সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে তারা সংবাদ সম্মেলন করে নতুন নাম প্রকাশ করেন।  সম্ম্যেলনে তারা সময়ের প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে পরিবর্তন, দেশের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষে রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরাম-এর আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের আহ্বায়ক ডক্টর মুহাম্মাদ হায়দার আলী। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, দেশকে একটি আধুনিক, সুশৃঙ্খল ও টেকসই উন্নয়নের পথে পরিচালিত করা ও রাষ্ট্রের সকল স্থরে সমন্বিত ও কার্যকর সংস্কার আনার মাধ্যমে একটি সুষম, ন্যায়ভিত্তিক ও স্বচ্ছ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা । তিনি উল্লেখ করেন বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় রাষ্ট্রকে টেকসই উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হলে, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোতে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা অপরিহার্য। দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বৈষম্য, দুর্নীতি, শিক্ষার নিম্নমান, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রশাসনিক অদক্ষতা প্রতিনিয়ত জনগণের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার ও নাগরিক সমাজের মাঝে দীর্ঘদিন ধরেই নীতিগত সংস্কারের দাবি উঠছে। অনেক ক্ষেত্রে, অগ্রগতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনিক অচলাবস্থা, যা রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যকরীতাকে হ্রাস করছে।

স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার রক্ষা, প্রকৃত গণতন্ত্র অর্জন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধশালী একটি আধুনিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে – স্থানীয় ও  আন্তর্জাতিক ২০টি সিভিল সোসাইটি এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্ট জনদের সমন্বয়ে রাষ্ট্র সংস্থার ও উন্নয়ন ফোরাম গঠিত হয়েছে এই ফোরাম মূলত একটি নীতি-নির্ধারণী এবং গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান, যার লক্ষ্য রাষ্ট্রকে সুশাসন ও উন্নয়নের সঠিক পথে পরিচালিত করা। আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, ন্যায়পরায়ণ ও সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে উন্নয়নকে আরো কার্যকরী করা যাবে।

ফোরামের লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রীয় পরিসরে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর ব্যাপক সংস্কার এনে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন করা এবং সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে একটি টেকসই উন্নয়ন মডেল প্রতিষ্ঠা করা। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লক্ষ্য নিম্নরূপ:

১. প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ২. অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস ও উন্নয়ন বৃদ্ধি মাধ্যমে দারিদ্র মুক্ত দেশ গঠন। ৩. গুনগত মানের শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন।৪. প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও ডিজিটালাইজেশন। ৫. সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। ৬. পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জালানী সুনিশ্চিত করা। ৭. পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করে আধুনিকায়ন ও টেকসই নগরায়ন প্রতিষ্টা। ৮. খাদ্য ঘাটতি রোধে কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়ন সাধন করা  ৯. মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আইনের সুশাষন নিশ্চিত করা। ১০. সরকারী দপ্তর ও মন্ত্রনালয় গুলোতে দক্ষ নেতৃত্ব তৈরি করা।

রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রের প্রতিটি স্থরে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন এনে একটি স্বচ্ছ, কার্যকর এবং সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রীয় কাঠামো তৈরি করা। ফোরাম বিভিন্ন উদ্দেশ্যে কাজ করবে, যেগুলো জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মূল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: রাষ্ট্রীয় কাঠামোর আধুনিকায়ন,দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন,মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক  জোরদার,রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরাম একটি সামগ্রিক জাতীয় উদ্যোগ, যার উদ্দেশ্য রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংস্কার ও উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সুশাসিত, উন্নত এবং সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে সাদা কে সাদা এবং কালোকে কালো বলার নীতিতে  -রাষ্ট্র সংস্থার ও উনয়ন ফোরাম একটি ছায়া সরকার হিসেবে কাজ করবে রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন  ফোরাম সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা করবে এবং  মন্দ কাজের  সমালোচনা করবে এবং সরকারকে  সঠিক পথে থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরামের  আহ্বায়ক ‘ল’ এন্ড জাস্টিস ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী ডক্টর মুহাম্মাদ হায়দার আলী, যুগ্ন আহ্বায়ক ইয়ুথ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সফিউল আলম ফাউন্ডার, যুগ্ন আহ্বায়ক প্রটেকশন ফর লিগোল এন্ড হিউমেন রাইটস্ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান এডভোকেট মহিউদ্দিন জুয়েল, ইউনাইটেড নেশনস ইন্টার পেসিফিক, এসোসিয়েশন এর (বাংলাদেশ চেপ্টার প্রেসিডেন্ট) মাওলানা মাসুদুর রহমান, বিবি আসিয়া ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ মনির হোসেন, পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ হোসেন, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ‘ল’ ইয়ার্স সোসাইটির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ড. মো: মাহমুদুল হাসান, আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহাদাৎ হোসেন শাওন, ওমেন এন্ড চিল্ড্রেন ওয়েলফোর ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট এডভোকেট রুমা আক্তার, রিভিউ আর্থ হিউমেন রাইটস্ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: আব্দুর রাজ্জাক, ডেভেলপমেন্ট ফর ডিজেবল চিল্ড্রেন এন্ড ওমেন এর প্রধান নির্বাহী এডভোকেট খালেকুজ্জামান ঝুমন, আইনজীবি সুরক্ষা আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক, এড নাসরিন বেগম, লিগ্যাল এন্ড হিউমেন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি প্রেসিডেন্ট এড. রতন কুমার দাস), লাইফ এর চেয়ারম্যান মো: সাইদুল আহসান (রিয়েল), করাপসান এন্ড পেট্রোয়েটিক সোসাইটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সৌকত নোমানী, সেভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক সায়দা শাহিনা হায়দার, বাংলাদেশ হিউমেন রাইটস একশন ইউনিটর সমন্বয়ক  আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ, আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন এর অতি: নির্বাহী পরিচালক রাকিব আল মাহমুদ, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এস.এম. মোরশেদ, গিব দিয়ান ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

 

০১) ‘ল’ এন্ড জাস্টিস ফাউন্ডেশন, ২) ইয়ুথ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, ৩) প্রটেকশন ফর লিগোল এন্ড হিউমেন রাইটস্ ফাউন্ডেশন, ৪) ইউনাইটেড নেশনস ইন্টার পেসিফিক, এসোসিয়েশন, ৫) বিবি আসিয়া ফাউন্ডেশন, ৬)পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি, ৭) বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ‘ল’ ইয়ার্স সোসাইটি, ৮)আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন, ৯) ওমেন এন্ড চিল্ড্রেন ওয়েলফোর ফাউন্ডেশন, ১০) রিভিউ আর্থ হিউমেন রাইটস্ ফাউন্ডেশন, ১১) ডেভেলপমেন্ট ফর ডিজেবল চিল্ড্রেন এন্ড ওমেন, ১২) আইনজীবি সুরক্ষা আন্দোলন, ১৩) লিগ্যাল এন্ড হিউমেন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ১৪) লাইফ, ১৫) করাপসান এন্ড পেট্রোয়েটিক সোসাইটি, ১৬) সেভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ১৭) বাংলাদেশ হিউমেন রাইটস একশন ইউনিট, ১৮) আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন, ১৯) জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন, ২০) রাগিব দিয়ান ফাউন্ডেশন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আশক ফাউন্ডেশন এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া, পরিচালক লায়ন হেলাল উদ্দিন হেলু, অলিউল্লাহ উপ-পরিচালক শিহাব উদ্দিন সহ-সামাজিক, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার ও আমাদের ভাবনা শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরাম এর আত্মপ্রকাশ

আপডেট সময় ০৫:০৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরাম এর আত্মপ্রকাশ নামে আত্ম প্রকাশ করেছে । আজ ১০ই সেপ্টেম্বর সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে তারা সংবাদ সম্মেলন করে নতুন নাম প্রকাশ করেন।  সম্ম্যেলনে তারা সময়ের প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে পরিবর্তন, দেশের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষে রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরাম-এর আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের আহ্বায়ক ডক্টর মুহাম্মাদ হায়দার আলী। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, দেশকে একটি আধুনিক, সুশৃঙ্খল ও টেকসই উন্নয়নের পথে পরিচালিত করা ও রাষ্ট্রের সকল স্থরে সমন্বিত ও কার্যকর সংস্কার আনার মাধ্যমে একটি সুষম, ন্যায়ভিত্তিক ও স্বচ্ছ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা । তিনি উল্লেখ করেন বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় রাষ্ট্রকে টেকসই উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হলে, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোতে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা অপরিহার্য। দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বৈষম্য, দুর্নীতি, শিক্ষার নিম্নমান, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রশাসনিক অদক্ষতা প্রতিনিয়ত জনগণের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার ও নাগরিক সমাজের মাঝে দীর্ঘদিন ধরেই নীতিগত সংস্কারের দাবি উঠছে। অনেক ক্ষেত্রে, অগ্রগতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনিক অচলাবস্থা, যা রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যকরীতাকে হ্রাস করছে।

স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার রক্ষা, প্রকৃত গণতন্ত্র অর্জন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধশালী একটি আধুনিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে – স্থানীয় ও  আন্তর্জাতিক ২০টি সিভিল সোসাইটি এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্ট জনদের সমন্বয়ে রাষ্ট্র সংস্থার ও উন্নয়ন ফোরাম গঠিত হয়েছে এই ফোরাম মূলত একটি নীতি-নির্ধারণী এবং গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান, যার লক্ষ্য রাষ্ট্রকে সুশাসন ও উন্নয়নের সঠিক পথে পরিচালিত করা। আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, ন্যায়পরায়ণ ও সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে উন্নয়নকে আরো কার্যকরী করা যাবে।

ফোরামের লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রীয় পরিসরে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর ব্যাপক সংস্কার এনে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন করা এবং সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে একটি টেকসই উন্নয়ন মডেল প্রতিষ্ঠা করা। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লক্ষ্য নিম্নরূপ:

১. প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ২. অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস ও উন্নয়ন বৃদ্ধি মাধ্যমে দারিদ্র মুক্ত দেশ গঠন। ৩. গুনগত মানের শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন।৪. প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও ডিজিটালাইজেশন। ৫. সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। ৬. পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জালানী সুনিশ্চিত করা। ৭. পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করে আধুনিকায়ন ও টেকসই নগরায়ন প্রতিষ্টা। ৮. খাদ্য ঘাটতি রোধে কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়ন সাধন করা  ৯. মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আইনের সুশাষন নিশ্চিত করা। ১০. সরকারী দপ্তর ও মন্ত্রনালয় গুলোতে দক্ষ নেতৃত্ব তৈরি করা।

রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রের প্রতিটি স্থরে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন এনে একটি স্বচ্ছ, কার্যকর এবং সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রীয় কাঠামো তৈরি করা। ফোরাম বিভিন্ন উদ্দেশ্যে কাজ করবে, যেগুলো জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মূল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: রাষ্ট্রীয় কাঠামোর আধুনিকায়ন,দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন,মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক  জোরদার,রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরাম একটি সামগ্রিক জাতীয় উদ্যোগ, যার উদ্দেশ্য রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংস্কার ও উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সুশাসিত, উন্নত এবং সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে সাদা কে সাদা এবং কালোকে কালো বলার নীতিতে  -রাষ্ট্র সংস্থার ও উনয়ন ফোরাম একটি ছায়া সরকার হিসেবে কাজ করবে রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন  ফোরাম সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা করবে এবং  মন্দ কাজের  সমালোচনা করবে এবং সরকারকে  সঠিক পথে থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়ন ফোরামের  আহ্বায়ক ‘ল’ এন্ড জাস্টিস ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী ডক্টর মুহাম্মাদ হায়দার আলী, যুগ্ন আহ্বায়ক ইয়ুথ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সফিউল আলম ফাউন্ডার, যুগ্ন আহ্বায়ক প্রটেকশন ফর লিগোল এন্ড হিউমেন রাইটস্ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান এডভোকেট মহিউদ্দিন জুয়েল, ইউনাইটেড নেশনস ইন্টার পেসিফিক, এসোসিয়েশন এর (বাংলাদেশ চেপ্টার প্রেসিডেন্ট) মাওলানা মাসুদুর রহমান, বিবি আসিয়া ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ মনির হোসেন, পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ হোসেন, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ‘ল’ ইয়ার্স সোসাইটির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ড. মো: মাহমুদুল হাসান, আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহাদাৎ হোসেন শাওন, ওমেন এন্ড চিল্ড্রেন ওয়েলফোর ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট এডভোকেট রুমা আক্তার, রিভিউ আর্থ হিউমেন রাইটস্ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: আব্দুর রাজ্জাক, ডেভেলপমেন্ট ফর ডিজেবল চিল্ড্রেন এন্ড ওমেন এর প্রধান নির্বাহী এডভোকেট খালেকুজ্জামান ঝুমন, আইনজীবি সুরক্ষা আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক, এড নাসরিন বেগম, লিগ্যাল এন্ড হিউমেন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি প্রেসিডেন্ট এড. রতন কুমার দাস), লাইফ এর চেয়ারম্যান মো: সাইদুল আহসান (রিয়েল), করাপসান এন্ড পেট্রোয়েটিক সোসাইটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সৌকত নোমানী, সেভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক সায়দা শাহিনা হায়দার, বাংলাদেশ হিউমেন রাইটস একশন ইউনিটর সমন্বয়ক  আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ, আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন এর অতি: নির্বাহী পরিচালক রাকিব আল মাহমুদ, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এস.এম. মোরশেদ, গিব দিয়ান ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

 

০১) ‘ল’ এন্ড জাস্টিস ফাউন্ডেশন, ২) ইয়ুথ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, ৩) প্রটেকশন ফর লিগোল এন্ড হিউমেন রাইটস্ ফাউন্ডেশন, ৪) ইউনাইটেড নেশনস ইন্টার পেসিফিক, এসোসিয়েশন, ৫) বিবি আসিয়া ফাউন্ডেশন, ৬)পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি, ৭) বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ‘ল’ ইয়ার্স সোসাইটি, ৮)আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন, ৯) ওমেন এন্ড চিল্ড্রেন ওয়েলফোর ফাউন্ডেশন, ১০) রিভিউ আর্থ হিউমেন রাইটস্ ফাউন্ডেশন, ১১) ডেভেলপমেন্ট ফর ডিজেবল চিল্ড্রেন এন্ড ওমেন, ১২) আইনজীবি সুরক্ষা আন্দোলন, ১৩) লিগ্যাল এন্ড হিউমেন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ১৪) লাইফ, ১৫) করাপসান এন্ড পেট্রোয়েটিক সোসাইটি, ১৬) সেভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ১৭) বাংলাদেশ হিউমেন রাইটস একশন ইউনিট, ১৮) আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন, ১৯) জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন, ২০) রাগিব দিয়ান ফাউন্ডেশন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আশক ফাউন্ডেশন এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া, পরিচালক লায়ন হেলাল উদ্দিন হেলু, অলিউল্লাহ উপ-পরিচালক শিহাব উদ্দিন সহ-সামাজিক, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ।