মধ্যরাতে একদল চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারী, অসহায় পরিবারের উপর হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজ করেও ক্ষান্ত হয়নি, অসহায় পরিবারের ওয়ার্কশপ দোকান পুকুরের মাছ পর্যন্ত তোলে নিয়ে যায়।
ছয় কক্ষের একটি বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন, মৃত হোসেন আলীর দুই ছেলে মনির হোসেন ও মতিন মিয়া।
গত ২৭ আগস্ট ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ১৫ নং ওয়ার্ডের মাসকান্দা গনসার মোড় এলাকায়, মৃত হোসেন আলীর ছেলে মনির ও মতিন মিয়ার বসতবাড়িতে অনধিকারে প্রবেশ করে হামলা ভাঙচুর পুকুরের মাছ লুটপাট সহ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে, নবি মিয়া গংসহ সন্ত্রাসী বাহিনী।
এতে কোতোয়ালি মডেল থানায় (২৮ আগস্ট) বুধবার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। উল্লেখ যে অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্ত ১৫ নং ওয়ার্ডের দুলাল দুলু মিয়ার ছেলে, নবি মিয়া, আল আমিন (৩৮) পিতা আক্তার মিয়া, রবিন (৩২) মাতা রওশান আরা, ফাহিম (২১) পিতা রফিক মিয়া, জাজীজ, (২০) পিতা মৃত রহিম মিয়া, শুভ সহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অভিযুক্ত বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাড়িতে বেআইনিভাবে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক অনাধিকার প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি ভাবে দা, ছুরি, লোহার রড, লাঠিসোঁটা দিয়া বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে আরও জানা যায়, নেতা পরিচয় দিয়ে মাসকান্দা গনসার মোড় এলাকায় বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে তার ব্যবসায়ীক মোকামের ১ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ, জানা যায় বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে, এতে ক্ষতি সাধন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা।
ভুক্তভোগী মনির হোসেন জানান, নবি মিয়া গং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বসতবাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে হামলা ও ভাঙচুর পুকুরের মাছ ও একটি ওয়ার্কশপ লুটপাট করেছে। আমাদের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসী ভূমি দস্যুরা তাদেরকেও ভয়-ভীতি দেখে তাড়িয়ে দেয়।
আমাদের পরিবারের সকল সদস্যকে বাড়ি থেকে মারতে মারতে টেনে হিচড়ে বাড়ির বাহিরে বের করে দিয়ে ২৭ তারিখ রাত সাড়ে বারোটা থেকে ২৮ তারিখ সকাল পর্যন্ত, বাড়িটির, টিভি, ফ্রিজ, আলমারি খাট, স্বর্ণালংকার, মোটরসাইকেল, আমাদের সমস্ত জমির কাগজপত্র, ভোটার আইডি কার্ড সহ সমস্ত জিনিসপত্র লুট করে, বাড়িটির ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় বাড়ির পাশেই আমার পুকুর ছিল এই পুকুরে জাল ফেলে প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মাছ তুলে নিয়ে যায়।
সন্ত্রাসী নবি মিয়ার হাত থেকে আমার ছোট ভায়ের স্ত্রী প্রাণে বাঁচার জন্য, পালানোর চেষ্টা করলে, অভিযুক্ত শুভ ছোট ভাইয়ের বাড়ি থেকে, ছোট ভাইয়ে স্ত্রীকে জোরপূর্বক তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানেও তার শেষ রক্ষা হয়নি, ছোট ভাইয়ে স্ত্রীকে সারারাত অভিযুক্ত শুভ ও তার পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে আটকে রেখে শ্রীলতা হানি করে, পরে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপন দিয়ে, আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়।
২৭ তারিখের পর থেকে এখনো পর্যন্ত পরিবার-পরিজন নিয়ে এক কাপড়ে মানবতার জীবনযাপন করছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আমাদের এলাকায় বসবাস করার মত কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি। লোক মারফতে শুনছি যে কোন মুহূর্তে আমাদেরকে পেলে সেখানেই আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের কে হত্যা করতে পারে। তাই প্রাণের ভয়ে এলাকায়ও যেতে পারছিনা।
অভিযুক্ত বিবাদীরা যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে আমার ও আমার পরিবারের ক্ষতি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন, সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার এবং শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার।