Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
শ্রীপুরে বেতন ভাতার দাবিতে দুই কারখানায় শ্রমিকের বিক্ষোভ
ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে বেতন ভাতার দাবিতে দুই কারখানায় শ্রমিকের বিক্ষোভ

গাজীপুরের শ্রীপুরে -অফ গার্মেন্টস অ্যান্ড প্রিন্ট লিমিটেড কারখানা ও ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের নয়নপুর হংকং সাংহাই মানজালা টেক্সটাইলের শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা, অফ গার্মেন্টস অ্যান্ড প্রিন্ট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানার ভেতরে নিয়ে যান।

নয়নপুর, হংকং সাংহাই টেক্সটাইলের শ্রমিকদের এক সপ্তাহর ভেতরে সকল পাওনা পরিষদের আশ্বস্ত করে তাদেরকে আন্দোলন থেকে সরিয়ে দেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা আমিনুল হক মনির।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। বকেয়া বেতনের বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

পিক-অফ গার্মেন্টস অ্যান্ড প্রিন্ট লিমিটেডের শ্রমিক রুবেল হোসেন বলেন, গত জুলাই মাসের বেতন এখনো কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করছে না। বেতন পরিশোধের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি তারিখ দিয়েছে, কিন্তু আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি।

হংকং সাংহাই টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক ফাহিমা বলেন,চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ বিগত চার মাস আগে আমাদেরকে ঈদের বোনাসের টাকা না দিয়ে অল্প বেতন দিয়ে আমাদেরকে ঈদের ছুটি দিয়ে দেন। ছুটি কাটিয়ে কারখানায় যোগদান করতে আসলে কারখানা কর্তৃপক্ষ দশ দিন পরে খোলা হবে বলে আমাদেরকে সেখান থেকে বের করে দেন।

সেই যে কারখানা বন্ধ হল আজ চার মাস হচ্ছে এখনো পর্যন্ত কারখানা খোলার নাম নেই অথচ আমাদের ন্যায্য পাওনা না দিয়ে কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে রেখেছে।

এবং আমাদেরকে অন্য কোন কারখানায় চাকরি নিতোও তারা বলছে না এ অবস্থায় আমাদের ঘর ভাড়া দোকান বাকি নিয়ে ব্যাপক চিন্তার মধ্যে আছি সঠিক সমাধান না হলে আমরা ঘরে ফিরে যাব না। বেতন না পেলে আমরা কীভাবে চলি? খেয়ে-না খেয়ে চলছে আমাদের সংসার। বেতন পেলে দোকান বাকি আর বাসাভাড়া দিতে হয়। এগুলোর জন্য আমাদের চাপ সইতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় চলে এসেছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন; আহবায়ক দুলু সদস্য সচিব শাহীন

শ্রীপুরে বেতন ভাতার দাবিতে দুই কারখানায় শ্রমিকের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৮:১৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

গাজীপুরের শ্রীপুরে -অফ গার্মেন্টস অ্যান্ড প্রিন্ট লিমিটেড কারখানা ও ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের নয়নপুর হংকং সাংহাই মানজালা টেক্সটাইলের শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা, অফ গার্মেন্টস অ্যান্ড প্রিন্ট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানার ভেতরে নিয়ে যান।

নয়নপুর, হংকং সাংহাই টেক্সটাইলের শ্রমিকদের এক সপ্তাহর ভেতরে সকল পাওনা পরিষদের আশ্বস্ত করে তাদেরকে আন্দোলন থেকে সরিয়ে দেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা আমিনুল হক মনির।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। বকেয়া বেতনের বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

পিক-অফ গার্মেন্টস অ্যান্ড প্রিন্ট লিমিটেডের শ্রমিক রুবেল হোসেন বলেন, গত জুলাই মাসের বেতন এখনো কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করছে না। বেতন পরিশোধের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি তারিখ দিয়েছে, কিন্তু আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি।

হংকং সাংহাই টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক ফাহিমা বলেন,চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ বিগত চার মাস আগে আমাদেরকে ঈদের বোনাসের টাকা না দিয়ে অল্প বেতন দিয়ে আমাদেরকে ঈদের ছুটি দিয়ে দেন। ছুটি কাটিয়ে কারখানায় যোগদান করতে আসলে কারখানা কর্তৃপক্ষ দশ দিন পরে খোলা হবে বলে আমাদেরকে সেখান থেকে বের করে দেন।

সেই যে কারখানা বন্ধ হল আজ চার মাস হচ্ছে এখনো পর্যন্ত কারখানা খোলার নাম নেই অথচ আমাদের ন্যায্য পাওনা না দিয়ে কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে রেখেছে।

এবং আমাদেরকে অন্য কোন কারখানায় চাকরি নিতোও তারা বলছে না এ অবস্থায় আমাদের ঘর ভাড়া দোকান বাকি নিয়ে ব্যাপক চিন্তার মধ্যে আছি সঠিক সমাধান না হলে আমরা ঘরে ফিরে যাব না। বেতন না পেলে আমরা কীভাবে চলি? খেয়ে-না খেয়ে চলছে আমাদের সংসার। বেতন পেলে দোকান বাকি আর বাসাভাড়া দিতে হয়। এগুলোর জন্য আমাদের চাপ সইতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় চলে এসেছি।