দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আট দিন বন্ধ থাকার পর গাজীপুর মহানগর পুলিশের সব ইউনিটে একযোগে পুলিশিং সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে সর্বস্তরে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আজ সোমবার সকাল থেকে থানাগুলোয় সেবাপ্রার্থীদের জিডি, মামলাসহ সব ধরনের আইনগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় পুলিশিং প্যাট্রোলিংও শুরু হয়েছে।
সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় কাজ করছেন গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তাঁদের সহযোগিতা করছেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ নগরীর বিভিন্ন থানা পরিদর্শন শেষে গাজীপুর মহানগর কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের শতভাগ পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। শিগগির নগরবাসীর নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা কেটে যাবে। এ ছাড়া পুড়ে যাওয়া বাসন থানার কার্যক্রম ভিন্ন স্থানে শুরু করা হয়েছে।
এদিকে সহিংসতায় লুট হওয়া পুলিশের একটি শটগান উদ্ধার করে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় আরও কোথাও লুট হওয়া অস্ত্রের সন্ধান পেলে থানা-পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানানো হয়।
গাজীপুর মহানগর কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘আমি সকালে সবগুলো থানা পরিদর্শন করেছি। থানায় আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য অনুপস্থিত নেই। পুলিশের শতভাগ উপস্থিতি রয়েছে। বাসন থানায় অস্থায়ীভাবে চালানো হয়েছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে থানা হস্তান্তর হবে।’ অন্যদিকে গাছা থানার পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান সাধারন ছাত্র/ছাত্রীরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়েছে। মহানগর পুলিশের ট্রাফিক কার্যালয়কে অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে এ থানার সব কার্যক্রম চালু করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ।