গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা কর্মীদের গুলিতে ৬বন্দি নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, নওগাঁর মান্দা থানার কাঞ্চনপুর এলাকার আঃ সালাম সরদারের ছেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসলাম হোসেন (২৭), জয়পুরহাটের রইস উদ্দিনের ছেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আফজাল হোসেন (২৭), মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার রামেশ্বরপুর এলাকার মোঃ মকবুল মিয়ার ছেলে ইমতিয়াজ (২৭), মৃত সীতারামের ছেলে রাধেশ্যাম (৬৭), টাঙ্গাইলের নাগরপুর এলাকার স্বপন শেখ (৪৫) ও জাকির হোসেনের ছেলে জিন্নাহ (২৯)। তারা সকলেই কাশেমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের বন্দী ছিলেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে থাকা বন্দিরা বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহের সময় বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের উপর চড়াও হয়।
বন্দিরা দেয়াল ভেঙ্গে, দেয়াল টপকে, দেয়ালে সাথে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চায়। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হলে সেনাবাহিনী কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন। বন্দীদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।
এ সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক মোঃ মোস্তাক আহমেদ জানান, কাশিমপুর কারা হাসপাতালের মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট আব্দুর রহিম বুধবার ভোরে একটি গাড়িতে বহন করে লাশগুলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। পরে স্বজনদের ও হেফাজতে ইসলামের নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে লাশ সন্ধ্যায় হস্তান্তর করা হয়েছে।